Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন অসম্ভব, আরও ৬ লাখ রোহিঙ্গা গণহত্যার চরম ঝুঁকিতে : জাতিসংঘ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:১৯ PM
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:১৯ PM

bdmorning Image Preview


মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখনো ছয় লাখের মতো রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যার চরম ঝুঁকিতে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির তদন্তকারী একটি মিশন গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে তাদের এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের তদন্তকারী দল বলছে, বর্তমানে মিয়ানমারের যে পরিস্থিতি, তাতে বিতাড়িত হওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনের বিষয়টি অসম্ভবই হয়ে আছে। জাতিসংঘের ওই ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন যে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তৈরি করেছে তা মঙ্গলবার জেনেভায় উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।

রোহিঙ্গা নিধন অভিযান নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল গত বছর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে ২০১৭ সালে রাখাইনে পরিচালিত দেশটির সেনাবাহিনীর নিধন অভিযানকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করে সেনাপ্রধানসহ দেশটির সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারের আহ্বান জানায়।

জাতিসংঘের ওই তিন সদস্যের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুশম্যান গত বছরের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেন। যেখানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানানো হয়।

মিশনের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুশম্যান বলেন, রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর একই রকম অপরাধী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিধন অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। তারপর প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা।

মারজুকি দারুশম্যান বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা ও গণহত্যা চালানোর মতো সব অভিপ্রায়ের প্রমাণ পেয়েছি। যুগ যুগ ধরে তারা (মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনী) পাশবিক এই অপরাধ করে এলেও তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না।’

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী হিসেবে স্থানীয় উগ্রপন্থী রাখাইন বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, নির্যাতন, তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে এখন মোট রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি।

Bootstrap Image Preview