দক্ষিণ কোরিয়ার পর এবার উত্তর কোরিয়ার দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় লিংলিং। আশঙ্কা করা হচ্ছে লিংলিং এর প্রভাবে ফসলের ক্ষতি হতে পারে উত্তর কোরিয়ায়। যা থেকে তৈরি হতে পারে খাদ্য ঘাটতিও।
শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় আঘাতের পর ঘণ্টায় ১শ ৪০ কিলোমিটার গতি নিয়ে লিংলিং এগিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়। দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত তিনজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে হাজারো ঘরবাড়ি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় লিংলিং নিয়ে জরুরি সভা করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানায়, ঘূর্ণিঝড় লিংলিং এর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় কর্মকর্তাদের তিরস্কার করেছেন কিম। তারা আরও জানায়, সরকার ফসলের পাশাপাশি বাঁধ ও জলাধার সংরক্ষণে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বন্যার আশঙ্কা আছে এমন এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সেতু এবং ভবনগুলো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ২০১৭ সালে দেশটিতে খরার প্রভাবে চাল আলুর মতো প্রধান শস্যগুলোর উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।