হামাস নেতা খালিদ মেশাল বলেছেন, গাজায় ইসরায়েল যা ঘটাচ্ছে, তা কেবল হলোকাস্টের সঙ্গেই তুলনীয়। আজ সোমবার সকালে দেওয়া এক ভাষণে তিনি আরও বললেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের এক বছর পূর্তির ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে শিগগির বিজয় আসবে।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হামাসের এই নেতা আরও বলেন, সব ধরনের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বলেই ৭ অক্টোবরের ঘটনা ঘটতে পেরেছে এবং সেই দিনের পর হামাস তার কৌশলগত ফল অর্জন করেছে। এ সময় তিনি হিজবুল্লাহ, হুতিসহ যেসব গোষ্ঠী ফিলিস্তিনি জনগণ ও হামাসকে সমর্থন দিয়েছে, তাদের ধন্যবাদ জানান। আরব দেশগুলো গাজায় অর্থায়ন করায় তাদেরও ধন্যবাদ জানান তিনি।
খালিদ মেশাল দাবি করেন, গাজায় ইসরায়েল তার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েই লেবাননে নতুন যুদ্ধ ফ্রন্ট খুলেছে। এ সময় তিনি আরও দাবি করেন, ইসরায়েল জর্ডান ও মিসরের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করছে। উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই দেশটি গাজা ও লেবাননে হামলা চালানো শুরু করে।
হামাসের অন্যতম শীর্ষ এই নেতা বলেন, ‘যদিও ইসরায়েল ইরান ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে কিছুটা অগ্রগতি অর্জন করেছে, কিন্তু তারপরও সামগ্রিকভাবে তারা পরাজিত হয়েছে।’ এ সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আপনারা হতাশ হবেন না, আমরা শিগগির বিজয়ী হব।’
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর হঠাৎ ইসরায়েলে হামলা চালায়। এই হামলায় ১ হাজারের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়। আর হামাসের হাতে জিম্মি হয় ২০০ ইসরায়েলি। ওই দিনই হামাস নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সেই অভিযান এখনো চলছে। আর এই যুদ্ধ চলাকালে এমন কোনো দিন নেই যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হাতে ফিলিস্তিনি নিহত হয়নি।
এ নিয়ে ৪১ হাজার ৮৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর ৯৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এর জবাবে পাল্টা হামলার শিকার হয়েছে ইসরায়েল। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা হয়েছে। এই হামলায় হতাহতের ঘটনা জানা যায়নি।