Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তীরে এসে তরী ডুবল ভারতের

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৩ AM
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৬ AM

bdmorning Image Preview


চাঁদের মাটি থেকে যখন ২.১ কিলোমিটার ওপরে ছিল বিক্রম, তখন থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। যে পনেরো মিনিটের দুশ্চিন্তা প্রতি মুহূর্তে গ্রাস করছিল বিজ্ঞানীদের, তাই সত্যি হলো?

ল্যান্ডিংয়ের সময় চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রমের গতিবেগ ছিল ৬ হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা, যেখানে প্রয়োজনীয় গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় সাত কিলোমিটার। ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদের পাথরের আঘাত লেগেই নষ্ট হয়ে যায় ল্যান্ডার। যার ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পৃথিবীর সঙ্গে বিক্রমের যোগাযোগ। কিন্তু আসলে কী ঘটেছে, তা নিয়ে এখনো পর্যালোচনা চলছে।

এত দিন যাবৎ তিল তিল করে গড়ে তোলা খরচ সাপেক্ষ স্বপ্ন, ল্যান্ডারের সঙ্গে এক লহমায় ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে পুরো দেশ। ইসরোর মিশন কন্ট্রোল সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে।

আপাতত চাঁদের দক্ষিণাংশে অভিযানের স্বপ্ন, স্বপ্নই রয়ে গেল ভারতের। কোথায় গেল ল্যান্ডার? কেন বিজ্ঞানীদের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না সে? পনেরো মিনিটের দুশ্চিন্তা কি সত্যি হলো তাহলে? একাধিক প্রশ্ন এখন গোটা দেশ জুড়ে। ৭ সেপ্টেম্বর ইসরোর অন্দরমহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মৃদু হাসিমুখেই সান্ত্বনা বাক্য আওড়ালেন, কিন্তু তাতে কাজ হয়েছে বলে মনে হয় না। তিনি হাল ছাড়েননি, কিন্তু তাঁর কথায় হতাশা কাটল না ইসরোর বিজ্ঞানীদের। যাঁদের হাতে গত ১০ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে উঠেছিল চন্দ্রযান-২, তার ল্যান্ডার বিক্রম, এবং রোভার প্রজ্ঞান।

অবতরণের নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট অতিক্রম হওয়ার পর ল্যান্ডার বিক্রমের অবস্থান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে গম্ভীর মুখে আপডেট দিয়ে যান ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিভন। তারপরই নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞানীদের মন শক্ত করতে তিনি বলেন, 'জীবনে চড়াই উৎরাই এসেই থাকে। আপনারা কেন নিজেদের ছোট করছেন? আপনারা দেশের গর্ব। মানবজাতির সেবায় নিয়োজিত। যোগাযোগ করা গেলে শুরু হবে কাজ। আশা রাখুন। পিছিয়ে যাবেন না।'

Bootstrap Image Preview