ইউটিউবের ভিডিও দেখে কয়েক মাস চেষ্টার পর পরিত্যক্ত পলিথিন দিয়ে জ্বালানী তেল ডিজেল ও পেট্রোল তৈরী করছেন বগুড়ার শেরপুরের শিবপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক। প্রতিদিন এ তেল স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে স্বাবলম্বী হবার স্বপ্ন দেখছেন তারা।
জানা যায়, উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে নাজমুল হক নাজু এক বছর আগে পলিথিন থেকে জ্বালানী তেল উৎপাদনের ভিডিও দেখে সে নিজ বাড়িতে চেষ্টা চালান। কয়েক মাস চেষ্টার পর সফল হওয়ায় স্থানীয় আরো ৪ যুবককে সাথে নিয়ে এখন নিয়মিত ডিজেল ও পেট্রোল তৈরী করছেন।
নাজমুল হক জানান, প্রতি কেজি পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল কিংবা পলিথিন থেকে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম জ্বালানী তেল উৎপাদন করা সম্ভব। একটি বড় চুল্লিতে পলিথিন গ্যাসের তাপ দিয়ে কয়েক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ বের করে পরিশোধনের মাধ্যমে ডিজেল ও পেট্রোল উৎপাদন করা হচ্ছে। এছাড়া অকটেন ও ব্যবহারযোগ্য কালিও উৎপাদন সম্ভব। কারখানাটি ছোট আকারের হওয়ায় প্রতিদিন প্রায় দেড়’শ থেকে ২’শ লিটার তেল উৎপাদন করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, প্রতি লিটার ডিজেল উৎপাদনে আমাদের খরচ হচ্ছে ২০ টাকা আর তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর গবেষকরা কারখানাটি পরিদর্শন করেছেন। তারা এটি দ্রুত পরিবেশ বান্ধব করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেবার জন্য কারিগরী সহযোগিতা দেবেন বলে জানা গেছে।
প্রথমে শিবপুর গ্রামের নাজমুল হক ও তার মামা মুন্টু এ কাজ শুরু করলেও পরবর্তীতে যুক্ত হন লাল মিয়া, মোমিন ও ফারুক হোসেন। বর্তমানে ৫ বেকার যুবক মিলেই তৈরী করছেন জ্বালানী তেল। ভবিষ্যতে ডিজেল পেট্রোল ছাড়াও অকটেন তৈরী করারও চিন্তাভাবনা তাদের রয়েছে।
তারা বলেন, পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বোতল কিংবা মোটা পলিথিনের বর্জ্য দিয়ে জ্বালানী তেল উৎপাদন করে দেশের জ্বালানীর ঘাটতি যেমন পূরণ করবে তেমনি পরিবেশ দূষণ থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে।