Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ সোমবার, মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রোহিঙ্গা মহাসমাবেশের অনুমতি: সিআইসি পাভেলকে প্রত্যাহার করল মন্ত্রণালয়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৪৯ PM
আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৪৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দুই বছর আগেও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা পরিবারগুলো ছিল পরস্পর বিচ্ছিন্ন। সেখানে সভা-সমাবেশ তো দূরের কথা, গ্রামের বাইরে বের হতেই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হতো। মিয়ানমার বাহিনীর হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে এ দেশে ছুটে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে অতিথির মতোই স্বাগত জানিয়েছিল কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বাসিন্দারা। গত রবিবার সেই রোহিঙ্গারা এক বিশাল সমাবেশে বলেছে, একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ছাড়া তাদের কেউই কখনো ফিরবে না।

রোহিঙ্গাদের সুসংগঠিত বিপুল জমায়েত ও কঠোর বক্তব্যে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মনে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার কারণে উখিয়া-টেকনাফের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ স্থানীয় বাসিন্দা বেশ আগেই সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। তাদের জীবন-জীবিকা, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও পর্যটনশিল্প—সবই আজ হুমকিতে। এমন প্রেক্ষাপটে দাবিদাওয়া নিয়ে এ দেশেই রোহিঙ্গাদের সংগঠিত হয়ে ওঠা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে।

উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়ার কারণে কুতুপালং এক্স- ৪ ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি) শামীমুল হক পাভেলকে প্রত্যাহার করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কী কারণে শামীমুল হক পাভেলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে সেটা নিশ্চিত করতে পারেননি।

ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের একাধিক সূত্র বলছে, রোহিঙ্গাদের মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার কারণেই তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ওই মহাসমাবেশ যে জায়গায় হয়েছে ওই ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

তবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেন, ‘এটা জেনারেল বিষয়। বদলিজনিত কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা সংকটের দুই বছর উপলক্ষে মহাসমাবেশের ডাক দেন রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহ। ঘোষণা অনুযায়ী প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার সমাগম ঘটে ওই মহাসমাবেশে।

তখন বলা হয়েছিল, সমাবেশের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু রোহিঙ্গা নেতারা দাবি করেছিলেন, তারা লিখিত আবেদনের মাধ্যমে সিআইসি থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন।

Bootstrap Image Preview