ভারতের আসামে চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রকাশের পর মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ঘোষিত ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি নজরদারি জোরদার করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)।
শনিবার আসামের বহুল আলোচিত এই নাগরিক তালিকা প্রকাশিত হয়। তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ ভারতীয় নাগরিক। বাদ পড়া ভারতীয়রা যাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে তাই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে বিজিবি সুত্র জানিয়েছে।
ভারতের আসাম রাজ্যের সঙ্গে সরাসরি সীমান্ত রয়েছে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও বিয়ানীবাজার উপজেলা এবং মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়া উপজেলার। বড়লেখা, জুড়ী ও কুলাউড়ার ১৩৩.৫ কি. মিটার সীমান্ত এলাকা বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন (বিয়ানীবাজার) এর আওতাধীন। এজন্য অন্যান্য এলাকার পাশাপাশি এ সীমান্ত এলাকা সুরক্ষিত রাখতে এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্তে স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন।
রোববার সরেজমিনে সকাল ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বড়লেখা উপজেলার বিজিবির লাতু বিওপির আওতাধীন বোবারথল, বিওসি কেছরীগুলসহ কয়েকটি সীমান্ত এলাকা ঘুরে বিজিবি সদস্যদের জোরদারভাবে টহল দিতে দেখা গেছে।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের (বিয়ানীবাজার) অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান এসপিপি, পিএসসি জানান, ‘২০১৮ সালে ভারতে এনআরসির খসড়া তালিকা প্রকাশের পর হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশে সতর্কাবস্থায় ছিল বিজিবি।
শনিবার পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের পর সীমান্তে আরো সতর্কাবস্থায় রয়েছে বিজিবি। ভারতের আসাম থেকে সেখানকার মানুষজনকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের ভীত না হয়ে সতর্ক থাকতে এবং সীমান্তের যেকোনো এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হলে তা দ্রুত বিজিবিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।