Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অধ্যাপক ফারুকের গবেষণার সক্ষমতা নেই: কৃষিমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৫৬ PM
আপডেট: ০১ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৫৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষক আ ব ম ফারুকের পাস্তুরিত দুধ নিয়ে পরীক্ষা করার সক্ষমতা নেই। এর আগে অধ্যাপক ফারুক দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধে ভারী ধাতু ও অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে দাবি করেন।

গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) পুষ্টি ইউনিটের দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ ও ভারী ধাতু উপস্থিতির বিশ্লেষণ ফলাফল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসজিএস-এর ভারতের চেন্নাই ল্যাবরেটরিতে দুধের পরীক্ষায় পাওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে সংবাদ সম্মেলন ডাকে কৃষি মন্ত্রণালয়।

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, পাস্তুরিত দুধে কোনো ভারী ধাতু, অ্যান্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ পাওয়া যায়নি; তাই দেশীয়ভাবে উৎপাদিত সাতটি ব্র্যান্ডের দুধ পানে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।’

আ ব ম ফারুকের যে গবেষণা তা ভুল কি-না, জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘উনি (আ ব ম ফারুক) তো নিজেই স্বীকার করেছেন, দুধের মধ্যে একটাতে তিনি অ্যান্টিবায়োটিক পেয়েছেন তা মানুষের জন্য ব্যবহার হয়।

তার মেটাল ও অ্যান্টিবায়োটিক পরীক্ষার কোনো সক্ষমতা নেই। কাজেই তার গবেষণাকে ভুল ও নির্ভুল বলার সুযোগ নেই, কারণ তার ওই পরীক্ষা করার-ই তো সক্ষমতা নেই। উনি বলবেন কোথা থেকে?’

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশে আইসিডিডিআর’বি-র ল্যাবরেটরিতেও ভারী ধাতু, ডিটারজেন্ট ও অ্যান্টিবায়োটিক পরীক্ষার সুযোগ নেই। আমরা এখনও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটা ল্যাবরেটরি করতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। অন্যান্য যেসব ল্যাবের কথা বলা হচ্ছে সেখানে সেই সক্ষমতা নেই।’

গত ২৫ জুন ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষকরা একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। মিল্ক ভিটাসহ সাতটি ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়েছেন বলে জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বায়োমেডিকেল রিচার্স সেন্টারের পরিচালক ও ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, পরীক্ষায় পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার সবগুলোতেই লেভোফ্লক্সাসিন ও সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং ছয়টি নমুনায় এজিথ্রোমাইসিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

Bootstrap Image Preview