Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৪ বছরের সেই শিশু পীর ‘বিড়িবাবা’কে আইনি নোটিশ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০১৯, ০৯:৩২ PM
আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৯, ০৯:৩২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


চার বছরের শিশুকে ‘বিড়িবাবা’ ও পীরবাবা বানিয়ে প্রতারণার অভিযোগ আইনি নোটিশ নোটিশ প্রদান করেছেন মোঃ মেহেদী হাসান, নজরুল ইসলাম, রবউিল হাসান তুষার, অ্যাডভোকেট, মোহাম্মদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট ও মোঃ মোকাদ্দেস আহমেদ, অ্যাডভোকেট, হেড অব জুরিষ্ট এইড।

জানা যায়, চার বছরের শিশু পীরবাবা নামে পরিচিত। তার রয়েছে কয়েক শত মুরিদ, ভক্ত ও আশেকান। ভক্তরা দ্বারের কাছে ভিরলেই হাতে ধরিয়ে দেন একটি সিগারেট। আর চিকিৎসা নিতে গেলে দিতে হয় ১০১ টাকা। এছাড়াও আগরবাতি, মোমবাতি, ম্যাচ ও এক প্যাকেট তো বাধ্যতামূলক।

এসব বিক্রির জন্য বাড়িতে খোলা হয়েছে একটি দোকান। প্রতি বৃহস্পতিবার বাড়িতে আয়োজন করা হয় জলসার। তাতে রাতভর চলে গান বাজনা ও ভুরিভোজ। বাড়ির মধ্যেই চলমান রয়েছে মাজার নির্মাণের কাজ।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কোরালতলি গ্রামের আলী আহম্মদ চৌকিদারের কনিষ্ঠ পুত্র আব্দুর রহমান গফু্র হচ্ছে চার বছরের ওই শিশু। যাকে পীরবাবা বানিয়ে চলছে প্রতারণার ব্যবসা। ওই শিশু স্থানীয় এলাকায় গফুর বাবা নামেও অনেক পরিচিত।

নোটিশে বলা হয়েছে, ৪ (চার) বছররে শশিু সন্তান মোঃ আব্দুর রহমান গফুরকে ইসলাম র্ধমরে পীর অভহিত করে বশে ইসলাম র্ধমরে দোহাই দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে জনসাধারণ থেকে ও ঝাড়ফুঁক এর বিনিময় র্অথ আদায় করে আসছেন। যা কিনা বিগত ২৮/০৭/২০১৯ ইং তারিখ থেকে ২৯/০৭/২০১৯ ইং তারিখ পর্যন্ত গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হারে প্রচার হয়। আর এ বিষয়টি অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের মনে আঘাত হেনেছে এবং বিষয়টি অনেকের নিকট দৃষ্টিকটু লেগেছে।

আপনি ও আপনার সন্তানের খাদেম, আশেক ও মুরিদগণ আপনার ৪ বছরের শিশু সন্তান মোঃ আব্দুর রহমান গফুরকে ইসলাম ধর্মের পীর বানিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে হাদিয়া, আগরবাতি, মোমবাতি, ম্যাচ ও সিগারেট গ্রহণের বিনিময় চিকিৎসা প্রদান করছেন তা আইনগত ও ধর্মীয়ভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

আপনি ও আপনার সন্তানসহ সহযোগীদের নামে ৪ বছরের গফুর শিশু পীরবাবা পরিচিত পেয়েছে এবং এসব কেন্দ্র করে বাড়িতে ব্যবসায়ের দোকানও খোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জলসার পাশাপাশি গান বাজনা ও ভুরিভোজ চলে। এদিকে অঅপনার বাড়িতে মাজার নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে- যা কিনা ধর্মীয়ভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং প্রচলিত আইনের পরিপন্থী।

যে ব্যক্তি শরীয়তের বিধান মানে না, নামায পড়ে না, পর্দা করে না, সতর ঢেকে রাখে না বা শরীয়তের আবশ্যকীয় কোন বিধান পালন করে না, সে ব্যক্তি কোনওভাবেই পীর হতে পারে না। আর শরীয়ত মোতাবেক আপনার সন্তান কোন এলেম ধর্ম গ্রহণ করেনি এবং ধর্ম সম্পর্কে তার বিশদ জ্ঞানও নেই। এমতবস্থায় সে কিছুতেই পীরবাবা বা গফুর পীর হতে পারে না।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, নোটিশ গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি পীরবাবা ও ধর্মের দোহাই দিয়ে উল্লেখিত প্রতারণা ও মাজার নির্মাণ হতে বিরত না থাকা হয় তাহলে দেশর প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Bootstrap Image Preview