Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বন্যার প্রভাব রাজধানীর কাঁচাবাজারে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০১৯, ০৬:৪৪ PM
আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯, ০৬:৪৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বন্যার পানি কমলেও রাজধানীর কাঁচাবাজারে দাম বাড়তি। সব ধরনের সবজির দামে রীতিমতো আগুন।

তবে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি গত সপ্তাহে ২৫০ টাকা থাকলেও বর্তমানে এর মূল্য কমে হয়েছে ১৪০। পাকা টমেটো ১৩০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা। বেগুন, শসা ঝিঙের কেজি একশ টাকার কাছাকাছি।

প্রতিকজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। এ ছাড়া কাঁকরোল, পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। বাজারে বরবটির কেজি ৬০ থেকে ৭০, কচুরলতি ৬০ টাকা। প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

তবে বাড়তি দামের বাজারে তুলনামূলক কমে পাওয়া যাচ্ছে পেঁয়াজ। বাজার ভেদে পেঁয়াজের কেজি এখনও ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই আটকে আছে। তবে, এলাকা ও বাজার ভেদে দামে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে, কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা।

রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতি দিনকার প্রয়োজনীয় এই পণ্যটি কোনো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, কোথাও ২২০, আবার কোথাও ২৫০ টাকা। তবে উচ্চমূল্যের বাজারে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ডিম, পেঁয়াজ ও মাছ।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম কমেছে ডজনে ১৫ টাকা, আর পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫ টাকা। দীর্ঘদিন পর কমেছে বেশিরভাগ মাছের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। তবে মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম ৫০-৫২ টাকা থেকে বেড়ে ৫৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, সীমান্তের স্থলবন্দরগুলোতে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পেলেও পেঁয়াজের এমন দর আরও কিছু দিন থাকবে। সামনে কোরবানির ঈদ, তাই গতানুগতিক ভাবে পেঁয়াজের চাহিদাও বেড়েছে।

এদিকে, কাঁচামরিচের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেন, বৃষ্টি ও বন্যায় কাঁচামরিচের ক্ষেত ডুবে গেছে। এতে গাছ মরে গেছে। বন্যার পানি নেমে না গেলে নতুন চারা রোপণ এবং নতুন ফসল না ওঠা পর্যন্ত কাঁচামরিচের বাজার এমনই থাকবে।

রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় বাজারেই সবজি ও মাছ বিক্রি হচ্ছে চড়ামূল্যে। এর প্রভাবে মাংস ও ডিমের মূল্যও বাড়তি। প্রতিপিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা দরে। বন্যা ও বৃষ্টি কমলে ডিমের দাম কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

খামারিরা জানান, সরবরাহ কম, বৃষ্টি ও বন্যায় মুরগি নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রোগের প্রভাবে একদিকে মুরগি মরে যাচ্ছে, অন্যদিকে ডিম উৎপাদন কম হচ্ছে। ফলে চাহিদা মাফিক ডিমের সরবরাহ বাজারে মিলছে না।

বন্যা ও বৃষ্টি কমলে ডিমের দাম কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে কারওয়ানবাজারের ডিম ব্যবসায়ী মোবারক আলী বাজারে সবজি, মাছ ও মাংসের দাম বেড়েছে। সবাই ভর করেছে ডিমের ওপর। চাহিদা অনুযায়ী ডিমের সরবরাহ হচ্ছে না বাজারে। তাই সুযোগ বুঝে ডিমের দাম বাড়িয়েছেন খামারিরা। তাই বাজারেও বেড়েছে ডিমের মূল্য।

এদিকে, বন্যার প্রভাবে রাজধানীর বাজারে বাড়তি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশব্যাপী বন্যা ও টানা বৃষ্টির পানিতে সব ধরনের সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা।

এদিকে, বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, সবজি, ডিমের সরবরাহ কমে যাওয়ায় চাপ পড়েছে মাংসের ওপর। ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগির মাংস। পাকিস্তানি কক (মুরগি) বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। বাজার ভেদে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শ থেকে ৫৭০ টাকা কেজি দরে।

Bootstrap Image Preview