Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রেনু হত্যা: ‘ছেলে ধরা’ বানানো সেই নারী ও মূল হোতার স্বীকারোক্তি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০১৯, ০৮:২৮ PM
আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৯, ০৮:২৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


রাজধানীর উত্তরপূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার আগে ‘ছেলেধরা’ গুজব রটনাকারী রিয়া বেগম ও প্রধান অভিযুক্ত ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

শুক্রবার (২৬ জুলাই) হৃদয় ও রিয়াকে  ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তারা স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক তা রেকর্ড করার আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে, গত ২৫ জুলাই উত্তর পূর্ব বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে রিয়া খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর ২৩ জুলাই নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকা থেকে হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়। এরপর হৃদয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এদিকে, বৃহস্পতিবার মুরাদ মিয়া, মো. সোহেল রানা, মো. বিল্লাল, মো. আসাদুল ইসলাম ও মো. রাজু নামের পাঁচজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ২২ জুলাই মো. শাহীন, মো. বাচ্চু মিয়া ও মো. বাপ্পি ৪ দিনের এবং গত ২৩ জুলাই মো. কামাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২২ জুলাই জাফর হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের সন্তানের ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন তাসলিমা বেগম রেনু।

এ সময় ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ঘটনায় ওইদিন বাড্ডা থানায় ৪০০-৫০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন তাসলিমার ভাগ্নে নাসির উদ্দিন। হৃদয় এই মামলার প্রধান আসামি।

Bootstrap Image Preview