Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ডেঙ্গু নিয়ে ছেলেধরার মতো গুজব ছড়ানো হচ্ছে: সাঈদ খোকন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০১৯, ০১:৫৯ PM
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯, ০২:২০ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত নিয়ে ছেলেধরার মতো গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। এ সময় ডেঙ্গু তথ্য নিয়ে গণমাধ্যমের খবর প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, ছেলেধরা নিয়ে যে গুজব রটেছে, এটিও সে রকম। সরকার এটি কঠিনভাবে মোকাবেলা করবে। সাড়ে তিন লাখ মানুষের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ওই তথ্য কাল্পনিক বলে তিনি দাবি করেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত আট হাজার ৫৬৫ জন মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল জুলাই মাসেই রেকর্ড ছয় হাজার ৪২১ জন হাসপাতালে গেছেন।

কিন্তু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৮৫ শতাংশই চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যান না এবং যারা হাসপাতালে যান, তাদের মাত্র ২ শতাংশের তথ্য সরকারি নজরদারির মধ্যে আসে। এমন যুক্তিতে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের একটি অনুমিত দুদিন আগে একটি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়।

সেখানে বলা হয়, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার তথ্য বিশ্লেষণ করে আক্রান্তের এই অনুমিত সংখ্যা পাওয়া গেছে। আর এই অনুমিত হিসাব তৈরিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে সহায়তা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬০ জন ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকাতেই আছেন ৫৫৯ রোগী।

গত মাসের শুরু থেকেই ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গেছে। মশাবাহিত এ রোগে এরই মধ্যে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যদিও সরকারের খাতায় এসেছে আটজনের মৃত্যুর খবর।

ঢাকায় এখন ডেঙ্গু রোগীর চাপ এত বেশি যে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক সরকারি হাসপাতালে বেডের অতিরিক্ত রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিশেষ সমন্বয়সভা করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ওষুধ দ্রুত সংগ্রহ করতে উদ্যোগ নিতে বলা হয়।

আর তার পর দিন সকালে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ২৫ থেকে ৩১ জুলাই দেশব্যাপী মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হলো।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা আশপাশের দেশের তুলনায় কম।

মশা মারার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে আইসিডিবিআরবির গবেষণায় ফল প্রত্যাখ্যান করে মন্ত্রী বলেন, অভিযোগ ওঠার পর আমরা পরীক্ষা করতে দিয়েছিলাম। পরীক্ষার পর আমরা জানতে পেরেছি যে, ওষুধে কোনো সমস্যা নেই।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে পূর্ণ বয়স্ক মশা মারতে এক লিটার কেরোসিনের সঙ্গে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পারমেথ্রিন, শূন্য দশমিক ২ শতাংশ টেট্রামেথ্রিন এবং শূন্য দশমিক ১ শতাংশ এস বায়ো অ্যালাথ্রিনের মিশ্রন ফগার মেশিন দিয়ে ছড়িয়ে দেয়া হয়।

আর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে এক লিটার কেরোসিনের সঙ্গে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ পারমেথ্রিন, শূন্য দশমিক ২ শতাংশ টেট্রামেথ্রিন এবং শূন্য দশমিক ২ শতাংশ অ্যালেথ্রিন মেশানো হয়।

এই মিশ্রনে মশা মারার মূল উপাদান হিসেবে থাকে পারমেথ্রিন। যেটি এখন মশা মারতে কাজ করছে না বলে আইসিডিডিআরবির গবেষণায় উঠে আসে।

তারা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় মশার পারমেথ্রিন, ডেল্টামেথ্রিন, টেট্রামেথ্রিন, ম্যালাথিয়ন প্রতিরোধী হয়ে ওঠার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

Bootstrap Image Preview