যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সমালোচনার ঝড় শেষ হতে না হতেই নতুন আরেক বিতর্কে জড়ালেন প্রিয়া সাহা। ইসরায়েল ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাক্ষাৎ ও করমর্দন এবং পেছনে একটি টেবিলে বসা প্রিয়া সাহার ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরেই তোলা। ধর্মীয় স্বাধীনতাকে এগিয়ে নিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমন্ত্রিত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধিদের জন্য গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় নৈশভোজ আয়োজন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সেই নৈশভোজটি হয়েছিল ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরের বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন রুমে। এটি স্টেট ডাইনিং রুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ওয়াশিংটনের একটি সূত্র জানিয়েছে, সেদিনের সেই নৈশভোজে বাংলাদেশসহ আমন্ত্রিত ১০৬টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধি দলের প্রধান ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় সেই নৈশভোজেই ইসরায়েল ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা করমর্দন করেছিলেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সেই ছবি ও খবর প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইসরায়েল পত্রিকা। সেই পত্রিকায় তাদের সেই করমর্দন ও কথোপকথনের তারিখ ১৭ জুলাই উল্লেখ রয়েছে।
তাদের সাক্ষাৎ যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর আয়োজিত ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্মেলনে হয়েছে তাও উল্লেখ রয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
এর আগে গত ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া ১৯টি দেশের ২৭ জন ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সাক্ষাৎকালে ট্রাম্পের কাছে নিজের দেশ সম্পর্কে ‘ভয়ঙ্কর’ অভিযোগ করেন প্রিয়া।
তিনি ট্রাম্পকে বলেন, ‘স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বিলীন হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা বাংলাদেশেই থাকতে চাই। সেখানে এখনো ১৮ মিলিয়ন সংখ্যালঘু মানুষ রয়েছে। আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। শুধু থাকার জন্য সাহায্য করুন।’
প্রিয়া সাহা আরও বলেন, ‘আমি আমার ঘরবাড়ি হারিয়েছি, তারা আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা আমার জমিজমা দখল করে নিয়েছে। কিন্তু তারা (প্রশাসনবা সরকার) কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এখন পর্যন্ত।’
এ সময় ট্রাম্প ওই নারীকে প্রশ্ন করেন, ‘কারা জমি দখল করেছে, কারা ঘরবাড়ি দখল করেছে?’ উত্তরে ওই নারী বলেন, ‘তারা মুসলিম মৌলবাদী গ্রুপ। তারা সব সময় রাজনৈতিক আশ্রয় পায়। সব সময়ই পায়।’