লালমনিরহাটে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধ ও রাস্তা ভেঙ্গে তিস্তার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বন্যার পানিতে শ্রেণীকক্ষ ডুবে যাওয়ায় জেলার ৩৪টি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার হাতীবান্ধাসহ ৫টি উপজেলার ৩৪টি বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে পানি প্রবেশ করেছে । ফলে ওই সব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৬টি ও উচ্চ বিদ্যালয় ৮টি। কয়েকটি বিদ্যালয়ে বন্যার্তরা আশ্রয় নেওয়ায় সেখানেও পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলার ২৬টি বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত এসব বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজিজুর রহমান বলেন, জেলার ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে গেলে বিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
এর আগে তিস্তা নদীর পানি তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ৩৫ সে. মি, রাত ৯টায় ৪৪ সে. মিটার, রাত ১২ টায় থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তিস্তার পানি প্রবাহ বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরের দিকে কমতে শুরু করে পানি প্রবাহ। যা বিকেল ৩টায় বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।