Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

২ বছরেও শেষ হয়নি মিরপুরের একাধিক স্থানের সংস্কার কাজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০১৯, ১২:৫৯ PM
আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯, ১২:৫৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


নগরীর মিরপুর ১১ নম্বর বাজার সংলগ্ন ভাসানী মোড় (রোড-৪, এভিনিউ-৩, ব্লক-এ) থেকে লালমাটিয়া পর্যন্ত সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হলেও ২ বছরেও তা শেষ করতে পারেনি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

মার্কেট ও অবৈধ স্থাপনার দখলে থাকায় সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার কিছুদিন পর তা বন্ধ হয়ে যায়। ডিএনসিসি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারেও কোনো কার্যকর ভূমিকা নেয়নি।

সড়কটির ফুটপাত ও ড্রেনের জায়গা দখল করে রয়েছে নিউ সোসাইটি মার্কেট, মোহাম্মদিয়া মার্কেট, শহীদ স্মৃতি মার্কেট ও বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা। ৬৮ ফিটের এ সড়কটির ৭০ ভাগই অবৈধ স্থাপনার দখলে রয়েছে।

ঈদুল ফিতরের পর মার্কেট ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করার কথা থাকলেও অদৃশ্য কারণে তা বন্ধ রয়েছে। এ জন্য ডিএনসিসি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উচ্ছেদ ঠেকাতে তহবিল গঠন করেছেন মার্কেট পরিচালনা কমিটির লোকজন। তহবিলের উদ্দেশ্য কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করা। এ জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দোকানপ্রতি ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা কালেকশন করা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, মিরপুর ১১নং বাজার (রাব্বানি হোটেল সংলগ্ন) ভাসানী মোড় থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে নিউ সোসাইটি ও মোহাম্মদিয়া মার্কেট। মার্কেটের শতাধিক দোকান রয়েছে সড়কটির মাঝামাঝি অংশে।

এ সড়কে মার্কেট ছাড়াও বিভিন্ন দোকানপাট, ক্যাম্প ও রাজনৈতিক কার্যালয়সহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। সড়কে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কয়েকটি দোকান রয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন বাসিন্দা।

ব্যবসায়ী বেলাল আহমেদ বলেন, ২-৩ দিন আগে নিউ সোসাইটি মার্কেট ও মোহাম্মদিয়া মার্কেটের নেতারা সব ব্যবসায়ীকে ডেকে বলেছেন টাকা দিলে রাস্তার ওপর মার্কেটের যে অংশ রয়েছে তা ভাঙা হবে না। রাস্তা বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে সে অবস্থায় সংস্কার হবে। বড় হবে না।

তিনি আরও বলেন, টাকা দেয়ার পরও যদি সিটি কর্পোরেশন উচ্ছেদ করতে আসে তাহলে লাঠিসোটা নিয়ে তাদের প্রতিহত করার পরামর্শ দেন মার্কেট পরিচালনা কমিটির লোকজন।

ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বলেন, ২ বছর রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে কোনো ক্রেতা আসতে পারছেন না। ব্যবসায়ীরা অনেক কষ্টে আছেন। সবাই পথে বসে গেছেন। এ সড়কে গাড়ি চলা তো দূরের কথা হেঁটেও মানুষ আসতে পারেন না।

সড়কটির সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় লোকজন সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছেন। খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে হরহামেশাই যানবাহন উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। তখন বড় বড় গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানি যানবাহনের চাকার সঙ্গে ধাক্কা লেগে চলাচলকারীদের নাজেহাল করে।

পথচারী সেলিম মিয়া বলেন, লালমাটিয়া, বাউনিয়াবাধ, কালশি, পলাশনগর, সবুজবাংলা, এভিনিউ ফাইভ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত এ সড়কে চলাচল করেন। সংস্কার শুরু করে কাজ বন্ধ থাকায় এবড়োখেবড়ো এ সড়কে এখন চলাই দায়।

২ বছর ধরে রাস্তা ঠিক করবে বলে সিটি কর্পোরেশন তা খুঁড়ে রেখেছে। খুঁড়ে রাখা সড়কে হাঁটাও যায় না। সড়কের পাশের এক দোকানি বলেন, সংস্কারের জন্য এ সড়কে অনেক বালু ছিটানো হয়েছে। কাজ বন্ধ থাকায় প্রচুর ধুলা উড়ছে।

এ নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সড়কটির সংস্কারের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেভিসিএ’র প্রতিনিধি পারভেজ বলেন, অবৈধ স্থাপনার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়নি। মার্কেট ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে কাজ শুরু হবে।

ডিএনসিসির অঞ্ছল-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইনামুল কবির বলেন, মার্কেট ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে রাস্তার কাজ শুরু হবে। এ জন্য শিগগির সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

Bootstrap Image Preview