জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের পুত্রবধূ মেরিনা শোয়েব গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি রয়েছেন। গতকাল রবিবার রাতে ফিরোজ রশীদের ছেলে কাজী শোয়েবের লাইসেন্স করা পিস্তলের গুলিতে ধানমন্ডি ৯/এ নম্বর বাসায় আহত হন মেরিনা।
বাসা থেকে রক্তাক্ত মেরিনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে আজ সোমবার বিকেলে কাজী ফিরোজ রশীদের বাসার নিচে তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক এলেম মিয়া কথা বলেন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে।
এলেম মিয়া বলেন, ‘আমি তখন স্যারের (কাজী ফিরোজ রশীদ) সাথে সংসদে ছিলাম। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বাসা থেকে ফোন করে খবর দেয় আমাদের। তখন দ্রুত আমরা বাসায় ফিরে আসি। এরপর বাসায় ঢুকে দেখি, শোয়েব স্যারের বেড রুমের আলমারীর পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মেরিনা ভাবি। তখন স্যার (কাজী ফিরোজ রশীদ) বলল, “দ্রুত গাড়ি বের কর।” আমরা মেরিনা ভাবিকে গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
চার বছর ধরে কাজী ফিরোজ রশীদের গাড়ি চালান এলেম মিয়া। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার পর মেরিনা ভাবি আমাকে বলল, “তোমরা চলে যাও, তোমরা চলে যাও”।’
গুলিবিদ্ধ মেরিনার অবস্থা সম্পর্কে তার বাবা সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, 'মেয়ের অবস্থা ভালো না। এখন আইসিইউতে আছে। আমরা সকালে তার সঙ্গে দেখা করেছি। সে একবার চোখ খুলে শুধু তাকিয়েছে। আমাকে কিছু বলতে পারেনি।’
তবে কীভাবে মেরিনা শোয়েব গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি। কীভাবে গুলি লাগল, সে বিষয়ে মেরিনা শোয়েবের স্বামী কাজী শোয়েব বলেন, ‘আমি সেটা জানতে পারি নাই। আমার মেয়ে যেটা বলছে, সেটা হলো যে, ওরা আওয়াজ পেয়ে রুমে ঢুকে দেখে, ও (মেরিনা শোয়েব) পড়ে আছে, হাতের কাছে পিস্তলটা।’
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের (ধানমন্ডি জোন) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) আবদুল্লা আল-কাফী বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো মেয়ের বাবা বা কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। এটা প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
কাজী শোয়েব দাবি করেন, মেরিনার সঙ্গে তার ২০১৬ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে। এরপরও তিনি শোয়েবের বাসায় আসতেন ও থাকতেন। গতকাল তার বাসাতেই গুলিবিদ্ধ হন মেরিনা।