Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ শনিবার, মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভুয়া আইডি খুলে মিন্নিকে ‘ভিলেন’ বানানোর অপচেষ্টা

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০১৯, ১০:৪৬ PM
আপডেট: ৩০ জুন ২০১৯, ১০:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রিফাত হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী মিন্নির নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক ভুয়া আইডি খুলে তাকে ‘ভিলেন’ বানানোর অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে জনমনে। পুলিশ বলছে, গুজব নয়, হত্যা মামলার আসামিদের ধরতেই কাজ করছে তারা।

জানা যায়, বরগুনা শহরের অলিতে গলিতে, চায়ের দোকানে, সর্বত্র আলোচনার বিষয় রিফাত হত্যাকাণ্ড। আর এই বিষয়টিকে কেউ না জেনে, আবার কেউ কেউ কাজে লাগিয়ে পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে। এজন্য ব্যবহার করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবকে। গ্রেপ্তার না হলেও নয়ন বন্ড গ্রেপ্তার হয়েছে এমন পোস্টও দিচ্ছে কেউ কেউ। আবার নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নির নামে তারই ছবি দিয়ে একটি মহল খুলেছে একাধিক ফেসবুক আইডি।

এদিকে গতকাল শনিবার সকাল থেকেই ফেসবুকের সঙ্গে নামে-বেনামের কিছু অনলাইন পোর্টালে দেয়া হয়েছে ভিত্তিহীন বরগুনা সদর থানার ওসির প্রত্যাহারের খবর। আর সে গুজব রোধে শেষ পর্যন্ত প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিতে হয়েছে জেলা পুলিশকে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপকর্ম বন্ধ না করা হলে এর প্রভাব রাষ্ট্রের ওপর পড়বে বলে মনে করেন বরগুনা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক মো. আহসান হাবিব।

অবশ্য বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলছে, এই মুহূর্তে রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামিদের গ্রেপ্তারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।

প্রসঙ্গত, নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরও দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালান। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নি দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।

নিহতের পরিবার জানায়, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যায় অংশ নেয় নয়ন বন্ডসহ ৪-৫ জন। রিফাতের সঙ্গে দুই মাস আগে পুলিশলাইন সড়কের আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বিয়ে হয়। বিয়ের পর নয়ন মিন্নিকে তার প্রেমিকা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিতে থাকেন।

রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, নয়ন প্রতিনিয়ত আমার পুত্রবধূকে উত্ত্যক্ত করত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিত। এর প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে নয়ন তার দলবল নিয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মূল আসামি নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

Bootstrap Image Preview