রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) শিক্ষক বিষ্ণু কুমার অধিকারির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করা দুই শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে নিরাপত্তা চেয়ে নগরীর মতিহার থানায় দুইটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই দুই ছাত্রী। সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন,‘শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী তাদের নিরাপত্তা চেয়ে থানা সাধারণ ডায়েরি করেছেন।’
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর থেকে অভিযোগপত্র প্রত্যাহারের জন্য তাদের বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ওই শিক্ষকের পক্ষের অনেক শিক্ষার্থী এসে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। শিক্ষকের অনেক ক্ষমতার কথা উল্লেখ করে ছাত্রত্ব বাতিলের ভয় দেখানো হচ্ছে। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছাত্রীরা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার ভয়ে হল থেকে বের হতে পারছেন না।
ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন,‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রশাসন সব সময় সজাগ। আমরা ওই দুই শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
অভিযোগের পর থেকে বিষ্ণু কুমার অধিকারী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন। চাপ প্রয়োগের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে বিষ্ণু কুমার অধিকারী বলেন,‘আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল এ কাজ করছেন।’
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দুপুরে আইইআরের সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি অভিযোগ করেন ইন্সটিটিউটের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আইইআরের পরিচালকের সামনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্ত্যক্তের মৌখিক অভিযোগ করেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ডাক যোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইইআর পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার আইইআরে এক জরুরি সভা ডেকে বিষ্ণুকুমার অধিকারীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যহতি দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।