বগুড়ার সোনাতলায় দোকান কর্মচারী নাতি সুখদেব দাসের (২১) বিরুদ্ধে কাঁচি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে তার নানি জোৎস্না রানীকে (৫৫) খুনের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার চকনন্দন গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রতিবেশীরা সুখদেবকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোনাতলা থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদ হাসান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি (তদন্ত) জাহিদ হাসান ও গ্রামবাসীরা জানান, সুখদেব দাস সোনাতলা উপজেলার চকনন্দন গ্রামের মৃত সুদেব দাসের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মুদি দোকানের কর্মচারী। নানা উপেন দাস মারা যাওয়ার পর থেকে সুখদেব তার নানি জোৎস্না রানীর কাছে থাকতেন। সুখদেবের মানসিক সমস্যা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ভাত খাওয়া নিয়ে নানির সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। রাত ৪টার দিকে সুখদেব চুল কাটার কাঁচি দিয়ে জোৎস্না রানীর পেটে ২-৩টি আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে সুখদেবকে আটক করে পুলিশে দেন।
এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।