সাতক্ষীরায় সরগরম শেষ মুহূর্তের  টুপি, আতর ও জায়নামাজের দোকান

সাতক্ষীরায় আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে টুপি, আতর ও জায়নামাজের দোকানে দেখা যাচ্ছে উপচেপড়া ভিড়।

বুধবার (২৯ জুন) ২৩ রমজান সরেজমিনে সাতক্ষীরা শহরের থানা মসজিদ এলাকায় টুপি, আতর ও জায়নামাজের দোকানে দোকানে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। শহরের থানা মসজিদ সড়কে পুঁথিঘর লাইব্রেরি, মাদ্রাসা লাইব্রেরি, শহিদ নাজমুল স্মরনীস্থ আরমান ষ্টোর, সাতক্ষীরা আহছানিয়া মার্কেটের সালেহিয়া লাইব্রেরিসহ ফুটপাতের দোকানগুলোতে আতর-তসবির বিক্রিবাট্টা বেশ জমে উঠেছে।

এসব দোকানে বিভিন্ন দামের বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধির সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে টুপি, তসবি, সুরমা ও জায়নামাজ। দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজার মাসের শুরু থেকেই টুপি-আতর-তসবির বিক্রি বেড়ে যায়। আর কেনাবেচার এই রমরমা ভাব চলবে ঈদের নামাজের আগ পর্যন্ত।

থানা মসজিদ সড়কের পুঁথিঘরের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব মোঃ মহিদুর রহমান জানান, আবা, মাথার বেড়ি, জায়নামাজ, টুপি ছাড়াও গুলবাহার, গুল রেডরোজ, লায়লা, বেলি, অ্যারাবিয়ান, জুঁই, বকুল, মর্নিং কুইন, চামেলি, জেসমিন, গোলাপ বাহার, শাহি দরবারসহ দেশি-বিদেশি আতর পাওয়া যাচ্ছে। কম দামের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি চলছে, জান্নাতুল ফেরদাউস, রজনীগন্ধা, বকুল আর বেলিফুলের আতর। প্রতি তোলার দাম পড়ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা।

এ ছাড়া বডিস্প্রের মতো ওয়ান ম্যান শো, আল হারমাইন মদিনা, মেইজ, সানডে, এক্সের চাহিদাও রয়েছে অনেক। বডিস্প্রের মতো এসব সুগন্ধি কিনছেন মূলত তরুণেরা।

অপরদিকে মধ্যম দামের মধ্যেও রয়েছে নানা ধরনের আতর। বেশি দামের আতরের মধ্যে রয়েছে ২০ হাজার টাকা তোলা দরে আল হারমাইন শেখ, সৌদি আরবের ১২ হাজার টাকা প্রতি তোলা দরে আতর।

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম পুঁথিঘরের লাইব্রেরি থেকে কাঁচা বেলির এক তোলা আতর কেনার সময় বললেন, ‘ছেলে, নাতি আর আমি সবাই মিলে আতর মেখেই ঈদগাহে যাব।’

ঈদের বাজার করতে আসা শ্যামনগরের দিদার শেখ জানান, ঈদের দিন সকালে নতুন পায়জামা-পাঞ্জাবির সঙ্গে দরকার পড়বে আতর, টুপি, তসবি ও জায়নামাজ। তাই ঈদের কেনাকাটায় শেষ মুহূর্তে এসব দোকানে ভিড় করছেন অনেকেই।

পুঁথিঘর লাইব্রেরিতে দেখা মিলল দুই ভাইয়ের। পছন্দের টুপি তারা বেছে নিচ্ছিলেন। এক ভাই চাকরিজীবী মোঃ শামীম বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা করা সবই শেষ। আগামীকাল গ্রামের বাড়ি যাব।’

পাশের দোকানে পাথরের পুঁতির তসবি আর জায়নামাজ কিনলেন এক দম্পতি।

টুপির দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ টাকা থেকে শুরু করে টুপি এবং ভাল পুঁতির কাজ করা টুপি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা। গোল টুপির দাম ৫০ থেকে ৫০০ টাকা। বাচ্চাদের চুমকি বসানো টুপি মিলবে ১০০ থেকে ২৫০ টাকায়। সোনালি সুতার কাজ করা টুপি পাবেন ৭০০ থেকে ১,৩০০ টাকা। আর সাধারণ টুপির দাম পড়বে ৫০ থেকে ১২০ টাকা। টুপির পাশাপাশি অনেকে হাজি রুমাল ব্যবহার করে থাকেন।

দোকানগুলোতে বাংলাদেশ ছাড়াও দুবাই, কাশ্মীর ও চায়নার হাজি রুমাল পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকা থেকে সাড়ে পাঁচশ' টাকার মধ্যে। ঈদে আতর শৌখিনতার প্রতীক তাই থানা মসজিদ ও তার আশপাশ এলাকাসহ নিউমার্কেট এলাকায় টুপি-আতরের দোকানে জমে উঠেছে ভিড়।