Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দিন দিন কৃষি জমির পরিমাণ কমছে শ্রীনগর উপজেলায়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০১৯, ০১:০১ PM
আপডেট: ২৯ মে ২০১৯, ০১:০১ PM

bdmorning Image Preview


মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা জুড়ে দিন দিন কৃষি জমির পরিমাণ কমে আসছে। ফসলি জমির মাটি কাটার পর তা চলে যাচ্ছে ইটভাটায়। এতে জমির উর্বরতা নষ্টসহ চরম সর্বনাশ ডেকে আনা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত ৩ দশক ধরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। আর জমির মালিকরা মাটি কেটে সেখানে পুকুর তৈরী করে চলেছেন। ফলে পুরো উপজেলায় দিন দিন আবাদী জমির পরিমাণ কমে আসছে। এতে একদিকে ফসলি জমির পরিমাণ কমছে অন্যদিকে উপজেলা জুড়ে পুকুরের সংখ্যা বাড়ছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ জানিয়েছেন, উপজেলায় সরকারি ১২ হাজার ৭২টি পুকুর রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেবে পুকুরের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার হবে।

এদিকে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশাগ্রস্থ কৃষকরা তাদের জমির মাটি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করছেন। ওই জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষে ঝুঁকছেন। এছাড়াও ধান চাষের চেয়ে মাছ চাষ অধিক লাভবান হওয়ায় অধিক মুনাফার আশায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমির মাটি কেটে তারা পুকুর তৈরী করছেন।

জেলার অধিকাংশ ইটভাটা সিরাজদিখান উপজেলায় অবস্থিত। পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর করে ইটভাটায় মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার ফলে কোটি কোটি টাকায় নির্মিত পাকা সড়ক বিনষ্ট করা হচ্ছে। পাকা সড়কের পিচ ওঠে গিয়ে নানা খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই কাঁদা পানিতে সড়ক গুলো পিচ্ছিল হয়ে যায়। আর তাই সহজেই দুর্ঘটনায় শিকার হয় পথচারি ও যাত্রীরা।

এছাড়াও কৃষকদের মধ্যে নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ও লোভ দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটতে প্ররোচিত করা হচ্ছে। ইটভাটার মালিক ও এক শ্রেণীর দালালচক্র কৃষকদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ সব করছে। ইটভাটার কারণে এলাকার আম, লিচু, নারকেলসহ বিভিন্ন গাছে ফল ধরছে না, ধরলেও তার পরিমাণ তুলনামূলক কম। ইটভাটা গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উদ্যোগ নেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শান্তনা রাণী জানান, ২০১৮ সাল পর্যন্ত শ্রীনগরে ১৫ হাজার ২৮৫ হেক্টর কৃষিজমি রয়েছে। অথচ ৫ বছর আগেও ১৭ হাজার ২৪ হেক্টরের বেশি কৃষিজমি ছিল। এলাকায় কৃষিজমিতে মাটি কাটা ও পুকুর খনন অব্যাহত থাকলে জীববৈচিত্র ও পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকানো অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি খাল বা পুকুর এক করে কৃষি জমিতে মাটি কাটা ও পুকুর খনন করা চলবে না। তারপরও যদি কেউ এ অন্যায় করে তাহলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Bootstrap Image Preview