বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন কিন্তু জীবন যুদ্ধে তিনি এখনও পরাধীন। কাজী আবদুল বারিক; বয়সের ভারে ন্যূব্জ এই মুক্তিযোদ্ধা এখনও জুতো সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করেন। স্বাধীনতার এতগুলো বছর পার করেও তাঁর ভাগ্যে জোটেনি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। পাননি রাষ্ট্রীয় ভাতা। সংসারে অভাব এতটাই যে, জুতো সেলাই করে সংসার চালাতে হচ্ছে আবদুলকে।
কুষ্টিয়ার দেশোয়ালী পাড়ার রামচরণ চৌধুরী রোডে মেয়ের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন আবদুল। জন্ম ১৯৪২ সালে। তাঁর পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে। সবাই বিবাহিত। তাই স্ত্রী আসমা খাতুনকে নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করছেন তিনি। স্ত্রী আবার অসুস্থ। টাকার অভাবে চিকিৎসাও রয়েছে আটকে।
স্বাধীনতা সংগ্রামে ৮ নম্বর সেক্টর থেকে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন আবদুল। ভারতের বিহারের অন্তর্গত চাকুলিয়া থেকে ক্যাপ্টেন গৌর সিংয়ের নেতৃত্বে তিনি তৃতীয় ব্যাচে মুক্তিযুদ্ধের উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন। কুষ্টিয়ার দর্শনার উথলি ও আলমডাঙ্গা সহ নানা প্রান্তে তিনি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সহযোদ্ধারা অনেকেই মারা গেছেন। আবার অনেকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছেন। তাঁদের বর্তমান ঠিকানা আবদুলের কাছে নেই। প্রশাসনের যুক্তি, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সকল কাগজপত্র না থাকায় তিনি স্বীকৃতি পাননি।