Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফার্মগেইটের সম্রাট হোটেলের মালিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ মে ২০১৯, ০৩:৪৭ PM
আপডেট: ২৮ মে ২০১৯, ০৩:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


প্রায় দুই মাস আগে রাজধানীর ফার্মগেইটের সম্রাট হোটেল থেকে দুই তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই হোটেলের মালিক জসিম উদ্দিন চৌধুরী কচিসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

নিহত তরুণীর বাবার দুই সপ্তাহ আগে দায়ের করা মামলা গত রবিবার গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তেজগাঁও থানার ওসিকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন বলে বাদীর আইনজীবী আলী আহাদ খান জিকু জানিয়েছেন।

মামলায় সম্রাট হোটেলের মালিক জসীম উদ্দিন চৌধুরি কচি, হোটেলের ব্যবস্থাপক রাসেল আহমেদ সুমন ওরফে লিটন ও হোটেলের তত্ত্বাবধয়ক আহাম্মদ হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল বিকালে গ্রীনরোডের সম্রাট হোটেলের আটতলার একটি কক্ষ থেকে আমিনুল ইসলাম ও মরিয়ম চৌধুরী নামে ঢাকার দুটি প্রতিষ্ঠানের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা আগের দিন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সেখানে উঠেছিলেন। আমিনুল তেজগাঁও কলেজে এবং মরিয়ম ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়তেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র আমিনুল কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। তিনি একটি মেসে থাকতেন। আর মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের মোস্তাক আহম্মেদ চোধুরীর মেয়ে মরিয়ম ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী; থাকতেন ধানমণ্ডির একটি মহিলা হোস্টেলে ।

মোস্তাক মঙ্গলবার বলেন, “আমাকে পুলিশ কোনো সহযোগিতা করছে না। বাধ্য হয়ে আমি আদালতে এসেছি। মামলা দায়েরের এতদিন পর গত রোববার আদেশ হলো। এখন দেখা যাক, পুলিশের কী ব্যবস্থা নেয়।”

মামলার আরজিতে তিনি বলেন, তার মেয়ের সঙ্গে কারও সম্পর্ক নেই। হোটেলের মালিক ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করেছে। পুলিশ তার মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে রাজি হয়নি। হত্যা মামলা করতে চাইলে তাও গ্রহণ করেনি।

নিহত আমিনুলের বাবা মোশারফ হোসেন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, হোটেল মালিকদের সাজানো যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটের ঘটনা আসল ঘটনাকে চাপা দেওয়ার জন্য তৈরি করা। তেজগাঁও থানা পুলিশ সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।কিন্তু দুই মাস পেরিয়ে গেলেও মৃতদেহের সুরতহাল, ময়নাতদন্ত ও কেমিক্যাল রিপোর্ট তৈরি হয়নি। এরপর কিছু না হলে তিনিও আদালতে যাবেন।

Bootstrap Image Preview