Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আবাসন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গৃহবধূ ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ মে ২০১৯, ০২:৪৯ PM
আপডেট: ২৮ মে ২০১৯, ০২:৪৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


মামলায় আপসের কথা বলে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের এমডি রেজাউল ইসলাম সোহেল (৪০), পারভীন আক্তার (২৯), কাজী সামছুর রহমান (৪০) এবং হারুন অর রশিদ (৪০) ।

ধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূ ওই ঘটনায় মামলার আর্জি নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকার নয় নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যান।

পরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শরীফ উদ্দিন অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে উত্তরা পশ্চিম থানাকে নির্দেশ দেন।

যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি হলেন উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল ইসলাম সোহেল (৪০)।

তার আরজিতে মোবাইল ফোনে ধারণ করা ধর্ষণের দৃশ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগও আনা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী শুভ্র সিনহা রায় রনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরজিতে বাদী বলেছেন, গাজীপুরে তিন কাঠা জমি কেনাবেচায় প্রতারণা অভিযোগে ব্রাইট ফিচার হোল্ডিংসের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা রয়েছে, যার বাদীও তিনি। এই মামলাটিতেও রেজাউল ইসলাম সোহেলসহ আরও কয়েকজন আসামি।

গত ২৩ এপ্রিল প্রতারণার ওই মামলায় হাজিরা দিতে এসে বাদীকে আপসের প্রস্তাব দেন রেজাউল।

বাদীর অভিযোগ, প্রস্তাবে রাজী হলে পরদিন কথা মতো তিনি উত্তরা পশ্চিম এলাকার সেক্টর সাত এর পাঁচ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর বাড়িতে রেজাউলের প্রতিষ্ঠানে যান।

সেখানে তাকে প্রতারণার মামলা তুলে নিতে বলেন রেজাউল। তিনি রাজি না হলে আসামিরা তাকে একটি কক্ষে আটকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এক পর্যায়ে রেজাউল তাকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পারভীন আক্তার মোবাইলে ফোনে ধর্ষণের ঘটনাটি ভিডিও করেন। তিনি ওই কক্ষ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও অন্যরা তাকে বাধা দেন বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর।

আইনজীবী শুভ্র সিনহা বলেন, মামলায় বাদী ছাড়াও আরও তিনজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

 

Bootstrap Image Preview