রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ভোট কেন্দ্রে সহিংসতায় ইসমাইল নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহতের ঘটনায় উভয় পক্ষের শুনানী শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।
সোমবার (২৭ মে) রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এমদাদুল হক দুই পক্ষের শুনানী শেষে আসামিদের আবেদন নামঞ্জুর করে ৮ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ এবং ২ জনের দুই দিন করে রিমাণ্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সহিংসতার ঘটনায় নিহত ইসমাইল দেওয়াড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন।
নিহতের স্ত্রী বিজলা বেগমের দেয়া তথ্য মতে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনী কেন্দ্রে ইসমাইলকে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায় বিএনপি-জামাত পক্ষের লোকেরা। এর পর তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের ৭নং পালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনী সহিংসতায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় বিএনপি ও জামাত শিবিরের ২২ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
এই হত্যা মামলার মোট ২২ জন আসামির মধ্যে ৮ জন আসামি সোমবার সকালে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদনের জন্য আত্মসমর্পণ করে। এই ৮ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে ১৪ দিনের আগাম জামিনে ছিলেন।
সোমবার শুনানীর সময় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি মো: ইব্রাহিম হোসেন, এ্যাডভোকেট এজাজুল হক মানু। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট শামসুল হক ও জুয়েল।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মুস্তাক আহমেদ জানান, এই হত্যা ঘটনার তদন্ত শেষে মোট ২২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার পর এখন পর্যন্ত মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ৪ জন আসামি পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মামলাটির তদন্তের স্বার্থে এই আট জন আসামিকে পর্যায়ক্রমে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে। পলাতকদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।