ককটেলটি পুলিশ ভ্যানে পেছনে আগে থেকেই রাখা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জনমনে ভীতি, নৈরাজ্য, অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য কোনো গোষ্ঠী এটি করতে পারে। জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না।
আজ সোমবার সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ককটেল বিস্ফোরণে আহত রিকশাচালক লাল মিয়া দেখতে এসে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া একথা বলেছেন। তবে নিজেদের টুইটারে সাইটে এর দায় স্বীকার করেছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, মালিবাগ মোড়ে পুলিশের গাড়িতে যে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি সাধারণ ককটেল থেকে শক্তিশালী ছিল। কাউন্টার টেরোরিজম, ডিবি, সিআইডি ঘটনাস্থলে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। এটি কি ধরনের বিস্ফোরক তা কাউন্টার টেরোরিজমের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট খতিয়ে দেখছে।
এছাড়া তিনি আরও জানান, পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো লক্ষে করা হয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জনমনে ভীতি, নৈরাজ্য, অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য কোনো গোষ্ঠী এটি করতে পারে। জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না।
অন্যদিকে ঢাকার মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট বা আইএস।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৯শে এপ্রিল ঢাকার গুলিস্তানে ককটেল বিস্ফোরণে ৩ পুলিশের আহত হওয়ার ঘটনাটিও কথিত ইসলামিক স্টেট গ্রুপ দায় স্বীকার করেছিলো।