কিশোরগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আসামি মুর্শিদ মিয়া সাত দিন পর আদালতে এসেই আত্মসমর্পণ করেছেন।
রবিবার (২৬ মে) কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন মুর্শিদ মিয়া। তবে আদালতের বিচারক আল মামুন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে কিশোরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলাতেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী কুলেশ চন্দ্র নাগ মুর্শিদ মিয়ার আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মুর্শিদ মিয়া জেলার ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদি গ্রামের আক্কাছ মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত ১৯ মে কিশোরগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ভৈরব থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেফতারকৃত আসামি মুর্শিদকে আদালতে হাজির করার জন্য আনা হয়। কিন্তু আদালতে হাজির করার আগেই তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ভৈরব থানা পুলিশের পাঁচ কনস্টেবল মো. নাজিম উদ্দিন, ফয়সাল আহমেদ, মন্তাজ মিয়া, মো. শাহজাহান ও জয়নাল আবেদীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে কনস্টেবল মো. নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক মুর্শিদ মিয়াকে ধরতে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালাচ্ছিল পুলিশ।