Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সদ্যোজাত সন্তানকে ৫ তলা থেকে ছুড়ে ফেলা সেই মা গ্রেফতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯, ০৮:০৫ PM
আপডেট: ২৬ মে ২০১৯, ০৮:০৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রাজধানীর মিরপুরে নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে পাঁচতলা থেকে নিচে ফেলে হত্যা করেছে জান্নাতুন নেছা নামের এক কিশোরী।

শনিবার (২৫ মে) মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকার ১০ নম্বর রোডের ১৮ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই কিশোরীর মাকে আটক করেছে।

রূপনগর থানা সূত্র জানায়, ওই বাসা থেকে জান্নাতুনকে আটকের পর সে স্বীকার করেছে, সে-ই আসলে বাচ্চাটির জন্ম দিয়েছে। জন্মের পরপরই বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে সে নিজেই সদ্যোজাত সন্তানকে ফেলে দিয়েছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মিরপুর ১০ নম্বর (রূপনগর আবাসিক এলাকা) রোডের ১৮ নম্বর বাড়ির ৫ তলা থেকে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে একটি শিশুকে বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে নিচে ফেলে দেয়া হয়। নিচে পড়ার সাথে সাথেই শিশুটি মারা যায়। এ সময় তার নাড়ি-ভুড়ি বের হয়ে মাথা ফেটে যায়।

তিনি আরও জানান, সদ্যোজাত শিশুটিকে যে বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে নিচে ছুড়ে ফেলা হয়েছে, সেখানে এখনও রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। মনে হয় বাচ্চাটি জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রূপনগর থানার উপ-পরিদর্শক পরিমল গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সদ্যোজাত এক শিশুর মরদেহ দেখতে পাই, বাচ্চাটির মাথা ফেটে মগজ বের হয়ে গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় রূপনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় চারজনের মধ্যে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে নিহতের মাকে। গত শনিবার রাতে ওই কিশোরী মাকে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েটি নিজের বয়স ১৮ বলেছে। তবে বাবা-মায়ের দাবি, তার বয়স ১৭ বছর ৬ মাস। এ বছর মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে।

এসআই বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরী মেয়েটি জানায়, তার মা দুই বিয়ে করেছে। সে মায়ের প্রথম স্বামীর সন্তান। ওই বাসায় তার মা ও সৎবাবা শাহ্ আলমের সঙ্গে থাকত সে। সৎ বাবা শাহ্ আলমের ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন বিদেশ থেকে কিছু দিন আগে দেশে এসেছিলেন। তখন তিনিও রূপনগরের এই বাসাতেই ছিলেন। সে সময় তার সঙ্গে (সৎ চাচা) শারীরিক সম্পর্কের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয় ওই কিশোরী।’

মামলার সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ওই কিশোরীর মা-বাবা জানার পরে তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয়। গত শুক্রবার ভোররাতে মেয়েটির প্রসব বেদনা ওঠে এবং বেলা সাড়ে ১১টায় টয়লেটে গিয়ে সে নিজেই সন্তান প্রসব করে। এরপরে নবজাতকে টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।

এসআই পরিমল আরও জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মেয়ের মা, বাবা শাহ্ আলম ও সৎবাবা বিল্লাল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু বিল্লাহ এখন বিদেশে অবস্থান করছে। আর ওই নবজাতকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview