এই সুন্দর পৃথিবীতে কে না বাঁচতে চায়, কিন্তু কারো জন্য এই বেঁচে থাকাটাই অনেক যুদ্ধের, অনেক সংগ্রামের। গত বছর নজরুল ইসলাম রুবেলে সাথে বিয়ে হয় নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার বানসা তফদার বাড়ি গ্রামের মেয়ে ফাতেমা বেগম ইরা'র। মোটামুটি সংসার ভালোই চলছিল। স্বামী ছিলো বাহরাইন প্রবাসী।
চলতি বছরের একুশে ফেব্রুয়ারিতে তাদের একটি ফুটফুটে সন্তান পৃথিবীতে আসার কথা ছিল। কিন্তু তাদের সন্তান পৃথিবীতে আর জীবিত আসেনি। এর কিছুদিন পরই জানা যায় দুরারোগ্য ব্যাধি ব্লাড কান্সারে আক্রান্ত ইরা।
ইরার স্বামী রুবেল স্ত্রীর অসুস্থতার কথা শোনার পর ছুটি নিয়ে দেশে আসে। স্ত্রীকে চিকিৎসা করাতে এদিক সেদিক দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে ছুটির সময় পেরিয়ে যায়। অসুস্থ স্ত্রীকে রেখে তার প্রবাসে আর যাওয়া হয়নি। ইতোমধ্যে ফিরে যাওয়ার সব রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেছে।
ইরার স্বামী জানালেন, স্ত্রীর ব্লাড ক্যান্সারের খবর শোনার পর পরিবারে এক দুর্যোগ নেমে আসে। নিমিষে আমার সব কিছু যেনও থমকে গেলো- বলতে যেয়ে গালা বুঁজে আসে রুবেলের।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম মানসিক ধাক্কা সামলে ওঠার পর শুরু হয় আসল সংগ্রাম। একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর দীর্ঘ দিনের সেবা, ডাক্তারের কাছে ছুটোছুটি, চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হয় অর্থের।
চিকিৎসা খরচ মিটাতে গিয়ে ইতিমধ্যে তার স্বামী এবং পরিবার ঋণগ্রস্থ। চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার মত পরিবারের আর্থিক সামর্থ্যের সব সীমানা পেরিয়ে গেছে। এ কারণে কান্সার হাসপাতাল থেকে ইরাকে আপাতত বাসায় রাখা হয়েছে।
চিকিৎসক বলেছেন, যেহেতু প্রাথমিক পর্যায়ে কান্সার শনাক্ত করা গেছে তাই চিকিৎসায় প্রতিকার সম্ভব। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৭ লাখ টাকা। ঋণগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা সম্ভাব হচ্ছে না।
সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা পেলে তার জন্য চিকিৎসা করানো সহজ হবে। বেচেঁ যাবে একটি জীবন এবং একটি পরিবার। ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীকে সহযোগীতা করতে চাইলে তার স্বামী প্রবাসী নজরুল ইসলাম রুবেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন; মোবাইল নাম্বারঃ ০১৭২৮১২৬৫৮৪, বিকাশ ০১৮৪০৩১৫৭৭৭(পার্সোনাল)