রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি থানার ভূমিহীন কৃষক মো: আকরাম হোসেনের সন্তান অপু হাসান। ঢাকা বাংলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পড়ার সময় গতবছর তার কিডনির সমস্যা ধরা পরে। কোথাও কিডনি না পেয়ে সন্তানকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দেন মা। কোনো রকমে অর্থ যোগার করে অপারেশন করা গেলেও এখন অর্থাভাবে থমকে আছে অপারেশন পরবর্তি চিকিৎসা।
এ বিষয়ে উৎসব সরকার নামে এক গণমাধ্যমকর্মী ফেসবুকে লিখেছেন-
সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে নিজের কিডনি দিয়েছিলেন মা। অথচ, সন্তান ও মা কেউই ভালো নেই! অপুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। মানুষ মানুষের জন্য...
অপু হাসান। বাবাঃ মোঃ আকরাম হোসেন একজন ভূমিহীন কৃষক। গ্রামঃ চষাবিলা, পোষ্টঅফিসঃ চন্ডিপুর, ইউনিয়নঃ নারুয়া, থানাঃ বালিয়াকান্দি, জেলাঃ রাজবাড়ি।
ওরা ৪ ভাইবোন। বড়বোনের গরিব ঘরে বিয়ে হয়েছে, বড়ভাই একটি ছোট চাকরি করে, ছোটবোন ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে।
অপু ঢাকা বাংলা কলেজে অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ছিল। গতবছর কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে, পরীক্ষা করে দেখা যায় ক্রিয়েটিনিন লেভেল ১০ এর উপরে! মানে দুটো কিডনিই সম্পূর্ণ অকেজো। তৎক্ষনাৎ ডিএমসিতে ভর্তি করে ডায়ালাইসিস করা হয়। এটা স্থায়ী সমাধান নয় বলে ডাক্তাররা কিডনি বদলানোর পরামর্শ দেয়। কিন্তু ওদের এই ব্যয়বহুল কাজটি করানোর সামর্থ্য ছিল না। অনেক ভেবে ওর মা'র কিডনি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং গ্রামে গ্রামে, হাট-বাজারে, স্কুলে, ওর কলেজ থেকে, সমাজে বিত্তবানদের কাছে থেকে টাকা তোলা হয়।
ছেলেটির মা আর ওর রক্তের গ্রুপ এক না হওয়ায়, রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন করে অপারেশন করাতে অনেক টাকা বেশি লাগে। কোনোমতে ১৫ লক্ষ টাকা তুলে কয়েকমাস ডায়ালাইসিস দেয়া ও অপারেশন করা হয় কিডনি ফাউন্ডেশন থেকে। আমার পরিবার থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে কিন্তু অপারেশন পরবর্তী ১ বছরের ওষুধ /চিকিৎসা করানো, খাওয়ার খরচ বহন, ঢাকায় বাসা ভাড়া করে থাকা এখন আর সম্ভব হচ্ছে না।
পরিচিতজনেরা সবাই কম-বেশি টাকা দিয়েছে বলে এখন আর কেউ তেমন সাহায্য করতে পারছে না। আমরা সবাই জানি এখন যদি চিকিৎসা টা না চালানো যায় তাহলে তীড়ে এসে তরী ডোবার মতো অবস্থা হবে! এত কষ্ট করে অপারেশন করাটা নিষ্ফল হয়ে যাবে। সবাই একটু সাহায্য করলে হয়তো এই যুবক ছেলেটি বেঁচে যাবে, স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।
বিকাশঃ০১৯৮৫৭৯৫৩৮২
ব্যাংক এশিয়া- Acc-06334002522
DBBL -1031030964891/ Bkash-01985795382