ডা. প্রিয়াংকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের আইন বিচারে শাস্তির দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন জেলা মহিলা পরিষদ।
শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১১টায় পৌর শহরের আলফাত স্কয়ারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে মহিলা পরিষদসহ জেলার বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
মানবন্ধন চলাকালে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অনতিবিলম্বে সুনামগঞ্জের মেয়ে সিলেটের পার্কভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রভাষক ডা. প্রিয়াঙ্কার মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করে এই ঘটনার নেপথ্যে থাকাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টামূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে চলাকালে বক্তব্য রাখেন, নারী নেত্রী শীলা রায়, গৌরী ভট্টাচার্য্য, সদর উপজেলার পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া প্রমুখ।
এর আগে গত রবিবার সকালে সিলেট নগরীর পশ্চিম পাঠানটুলাস্থ পল্লবী সি ব্লকের বাসা থেকে সিলেটের জালালাবাদ থানা পুলিশ ডা. প্রিয়াংকা তালুকদার শান্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ঋষিকেশ তালুকদার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় নির্যাতনে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামি প্রায়াত ডা. প্রিয়াংকার প্রকৌশলী স্বামী দিবাকর দেব কল্লোল, শ্বশুর সুভাষ চন্দ্র দেব ও শাশুড়ি রতœা দেবকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
প্রিয়াংকা সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার গঙ্গাধরপুর গ্রামের ঋষিকেশ তালুকদারের মেয়ে। তিনি সিলেট পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। কাব্য নামে তিন বছরের এক শিশু পুত্র রয়েছে প্রিয়াংকার।
উল্ল্যেখ, প্রায় ৫ বছর পূর্বে সিলেটের পাঠানটুলার সুভাস দেব ও রত্না দাসের ছেলে প্রকৌশলী দিবাকর চন্দ্র দেব কল্লোলে র সাথে ডাঃ প্রিয়াংকার প্রণয় সূত্রে বিয়ে হয়েছিল। কাব্য নামে তাদের একটি শিশু পুত্রও রয়েছে।
নিহত প্রিয়াংকার পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না প্রিয়াংকার এবং তাকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে আত্বহত্যার নাঠক তৈরী করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা।