বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। এই কমিটিতে কারা পদ পেলো বা কারা পেলো না তা নিয়ে চলছে এখন নানা আলোচনা সমালোচনা।
এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঘোষিত ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে বিতর্কিত ও অবৈধ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা।
একপর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে তাতে হামলা চালিয়েছে সদ্য পদপ্রাপ্তরা।
এতে ছাত্রলীগের হল কমিটির সাবেক নেতাসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে।
কমিটি ঘোষণার পর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
পাঠকদের জন্য সেটাই এখানে তুলে ধরা হলো-
‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লাখো নেতা কর্মীদের যোগ্যতার বিচার করতে গেলে পোস্ট শুধুমাত্র পরিমাপের মাপকাঠি হতে পারে না।
আজকে যারা কমিটিতে পদ পান নি তাদের প্রতি আমার একটাই আহ্বান, আপনারা শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি বুকে ধারণ করে রাজনীতি চালিয়ে যান। রাজনীতি একদিনের না এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। অপ্রাপ্তিকে শক্তিতে রূপান্তর করে নতুন উদ্দ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। এখানে হতাশ হবার কোনো সুযোগ নেই। আরও বেশি বেশি কাজ করে যেতে হবে।
পরিশেষে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমাদের সবার প্রাণের সংগঠন, সুতরাং সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার।
আমি বিশ্বাস করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী কোন কর্মী সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কোন কাজ করতে পারে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে অভিনন্দন…
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু’
তার এই স্ট্যাটাসে অনেকে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে পদবঞ্চিত।
মোহাম্মদ ইকবাল খন্দকার নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আজ কেন্দ্রীয় কমিটি দেখে বুঝলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সারা বাংলাদেশে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ ছাত্রলীগ করে না, শ্রমিক লীগ করে।’
এস এম রাশেদ নামে অপর একজন লিখেছেন, ‘মনে রাখবেন সভাপতি সেক্রেটারি চিরদিনের নয়।আপনাদের চেয়ে অনেক হাইভোল্টেজ নেতা অনেকে আসছে গেছে। তাদের কথাতো আপনাদের জানা। পদবী শেষ তাদের পিছনে ১০ জন নাই।আর রনিরা পদবী ছাড়া নেতা।রনিকে পদের জন্য নয় কর্মের জন্য পুরো বাংলার ছাত্র যুব সমাজ ভালোবাসে।’
মঈনুর রহমান মঈন নামে একজন মন্তব্য করছেন, ‘লজ্জিত। রগকাটাদের প্রেতাত্মা ভর করেছে ছাত্রলীগে। চরম দু:খ লাগছে......। অধিকার আদায়ে আন্দোলন হতেই পারে তাই বলে নিজের রক্তে নিজের হাত রাঙ্গানো!!! অশুভ লক্ষণ। আপার ছাত্রলীগ বলে বলে প্রাণের সংগঠন কে ধ্বংস করা হচ্ছে। ভাষা নেই....’
সোহেল হোসেন মন্তব্য করেছেন, ‘নারী নেত্রীর উপর এভাবে হামলা তাও মধুতে। শ্রাবনীরর উপর হামলাকারী যে হোক উপযুক্ত শাস্তির পাশাপাশি আজীবনের জন্য হামলাকারীদের বহিষ্কার করা হোক।’
এরকম আরো অনেক মন্তব্য রয়েছে স্ট্যাটাসটির কমেন্ট সেকশনে।
মাজহুরুল ইফতি মন্তব্য করেছেন, ‘ঢাবিতে না পড়ে ছাত্রলীগ করাটাই সবচেয়ে বড় ভুল। বেচে থাকুক তেলবাজ ট্যাগীরা হারিয়ে যাক ত্যাগীরা'
নানজিবা নুর মন্তব্য করেছেন, ‘প্রকৃত লীগাররা শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি বুকে ধারণ করে ত্যাগি ট্যাগ লাগাবে আর দিন শেষে বিবাহিত সহ রাজাকার সন্তানরা পদ পাবে?? কি বলে আপনাদের বিবেক, প্রকৃত লীগাররা হারিয়ে যাক উদবাস্তুদের ভিরে? ক'জন ত্যাগি কমিটিতে?’
জিয়াউল হক শামিম লিখেছেন, ‘বিবাহিতরা ছাত্রলীগের কমিটিতে!! অসাধারণ কমেডি।
সাদিক খান, সহ-সভাপতি
সোহানী তিথি, সহ-সভাপতি
রুশি চৌধুরী, উপ-সম্পাদক।
আঞ্জুমান আরা অনু,সহ-সম্পাদক
ভাই পদ টা বেশি কিছু না
কিন্তু ত্যাগি কর্মী এদের ঠকিয়ে কেমনে এদের দিয়ে কমিটি দিবেন?’