বগুড়ার নন্দীগ্রামে নববধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামী। এ ঘটনায় নববধুর স্বামী রকি হোসেনকে (১৯) আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ মে) সকালে উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের পারশুন গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত নববধূ ফারজানা (১৫) উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের আগাপুর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান, গত একমাস পূর্বে পারশুন গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে দিনমজুর রকি হোসেন (১৯) সাথে পার্শ্ববর্তী আগাপুর গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে ফারজানার বিয়ে হয়। ক'দিন আগে ফারজানা তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসে। প্রতিদিনের ন্যায় তারা নিজ শয়নঘরে ঘুমিয়ে পরে। এরপর ভোর রাতে রকির বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম তাদের বাড়ির পার্শ্বে একটি ড্রেনের মাঝে ফারাজার মরদেহ দেখতে পায়। পরে বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানালে তারা পুলিশকে খবর দেয়। ধরনা করা হচ্ছে যৌতুকের কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
নিহত ফারজানার পিতা আবুল কালাম বলেন, রকি তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর আমার মেয়ে ফারজানাকে বিয়ে করে। বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা যৌতুক দেয়ার কথা হয়। আর সেই যৌতুকের টাকা না পেয়ে রকি আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
নন্দীগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনার পর ফারাজার স্বামী রকি হোসেন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে রকিকে আটক করে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রকি হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।