খাগড়াছড়ির রামগড়ে টয়লেটের গর্তে পড়ে যাওয়া মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মরণ মালাকার (৫০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি রামগড় পৌরসভার গর্জনতলী এলাকার মৃত চন্দ্র মোহন মালাকারের ছেলে।
শনিবার (১১ মে) বিকালে খাগড়াছড়ির রামগড়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, রামগড় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের জগন্নাথপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছায়ারাণী শীলের মেয়ে সীমা রাণী টয়লেটে ব্যবহার করতে গেলে মোবাইল ফোনটি টয়লেটের গর্তে পড়ে যায়। ফোনটি তোলার জন্য মরণ মালাকার নামের এক ব্যক্তিকে ডেকে আনা হয়।
৬শ টাকায় মোবাইল ফোনটি তুলে দেওয়ার কথাবার্তা হওয়ার পর শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ঐ টয়লেটের গর্তে নেমে পড়েন তিনি । গর্তের ভেতরে বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তিনি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিতে থাকেন। কিন্তু ঐ সময় বাড়িতে পুরুষ লোক না থাকায় নারীদের পক্ষে গভীর গর্ত থেকে তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এর কিছুক্ষণ পরই সাড়া শব্দ বন্ধ হয়ে যায় তার।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, গর্তে নামার সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল মরণ মালাকার। এদিকে, খবর পেয়ে রামগড় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে একদল উদ্ধারকর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মী মো. আরমান উদ্দিন জানান, মরণ মালাকার বেঁচে নেই। গর্তটি প্রায় ১৫ ফুট গভীর। টয়লেটের বিষাক্ত গ্যাসে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছেন তিনি। ঐ গর্তে অক্সিজেন দিয়ে তার লাশ উদ্ধার করতে হবে। এতে কিছু সময় লাগবে।
এই বিষয়ে খাগড়াছড়ি থানার সহাকারী পরিদর্শক মজিবুর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধারের পর পরবর্তী আইনী কার্যক্রম নেওয়া হবে।