Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ সোমবার, মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আগেও বড় দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিল রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়া বিমানটি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০১৯, ০১:২১ PM
আপডেট: ০৯ মে ২০১৯, ০১:২২ PM

bdmorning Image Preview


মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার শিকার বিমানটি এর আগেও দুর্ঘটনার একাধিকবার বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পুরনো এই বিমানটি ৬ মার্চ ভারতের হায়দরাবাদ থেকে বড় ধরনের মেরামত সেরে দেশে আসার পথেই দু্র্ঘটনার মুখোমুখি হয়। তখন এয়ারক্রাফটির ইঞ্জিনের ওপর থাকা ব্ল্যাংকেট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফলে ইঞ্জিন অস্বাভাবিক উত্তপ্ত হয়ে পড়ে এবং ইঞ্জিন অয়েল বিপজ্জনক মাত্রায় চলে আসে। কিন্তু অল্পের জন্য রক্ষা পায়।

এর আগে ২৫ জানুয়ারি এয়ারক্রাফটটিকে ভারতের হায়দরাবাদের ‘জিএমআর অ্যারো টেক কোম্পানি’তে পাঠানো হয় ‘সি-চেক’ (বড় ধরনের মেরামত) করানোর জন্য। ১৫ দিনে ‘সি-চেক’ শেষ করার কথা থাকলেও সময় লাগে প্রায় দেড় মাস। দেশে আসার পথে ব্ল্যাংকেট পুড়ে যাওয়ায় ‘জিএমআর অ্যারো টেক কোম্পানি’র সি-চেকের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এর দুই মাস যেতেই ফের দুর্ঘটনার শিকার হয় এয়ারক্রাফটি। বুধবার সন্ধ্যায় মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণ করতে গিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে।

এ ঘটনায় অল্পের জন্য যাত্রীদের প্রাণ রক্ষা হলেও পাইলটসহ ১৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সবাই শঙ্কামুক্ত। এতে ফ্লাইটটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মুখপাত্র জানান, বিজি-০৬০ ফ্লাইটটি বুধবার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। মিয়ানমারের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে ফ্লাইটটি ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে।

এ সময় বৃষ্টি ও ঘন ঘন বজ্রপাত হচ্ছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পাইলট ও ১৮ যাত্রী আহত হন। ফ্লাইটটিতে এক শিশুসহ ২৯ যাত্রী, দুজন পাইলট ও দুজন কেবিন ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে আহত ১৯ জনকে ইয়াঙ্গুনের নর্থ ওকলাপা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, কিছু দিন আগে হায়দরাবাদ থেকে সি-চেক সেরে দেশে ফেরার পথে আকাশে বিকল হওয়া এয়ারক্রাফটিকে কেন আবারও অপারেশনে রাখা হচ্ছে- তা খতিয়ে দেখা হবে।

এদিকে ইয়াঙ্গুন থেকে ১৭ যাত্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিশেষ ফ্লাইট ড্যাশ-৮ কিউট-৪০০। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টায় বিশেষ ফ্লাইট বিজি ১০৬১ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

আর রানওয়েতে ছিটকেপড়া বিমানে আহত ১৪ যাত্রী এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি আহত চার যাত্রী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। তবে দুর্ঘটনাকবলিত কোনো যাত্রীকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।

আজ ভোরে ১৭ যাত্রী নিয়ে বিশেষ ফ্লাইটটি ফিরে এসেছে। তারা অপেক্ষমাণ যাত্রী ছিলেন। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন সোয়েব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Bootstrap Image Preview