Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সেতু থাকলেও সড়কের অভাব

রাজীবুল হাসান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৬ মে ২০১৯, ০৯:৫৯ PM
আপডেট: ০৬ মে ২০১৯, ০৯:৫৯ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: বিডিমর্নিং


ভৈরবের গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদি এলাকায় দুই বছর আগে একটি সেতু নির্মান করা হলেও এপ্রোজ সড়কের অভাবে এলাকাবাসী পথ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এলাকাবাসীর যাতায়তের জন্য মানিকদির তাঁতালচর পাড়াতলা প্রকল্প নামে সেতুটি ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ১০৬ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ গত ২০১৬-২০১৭ ইং সালে সেতুটি নির্মাণ করে দেয়।  

ভৈরব উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সেতুটি নির্মাণ দেখভাল করে। সেতুর নির্মাণ কাজ গত দুই বছর আগে শেষ হলেও এপ্রোজ সড়ক না থাকায় এলাকার হাজার হাজার মানুষ পথ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সেতু কাছেই অবস্থান একটি হাইস্কুলের। এই স্কুলের শত শত ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে থাকে। কিন্ত এপ্রোজ সড়ক না থাকায় সেতুর ওপর দিয়ে কোন যানবাহন বা রিক্সা চলাচল করতে পারেনা। এমনকি নারী, শিশু, বৃদ্ধরা এখন সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল না করে সেতুর সাইডে জমির ওপর দিয়ে হেঁটে পার হয় তারা। কারন এপ্রোজ সড়ক না থাকায় সেতুর ওপরে উঠতে বা নামতে গেলে অনেকেই দূর্ঘটনার শিকার হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতুটি নির্মান করলেও জনগনের কোন উপকারে  আসছেনা। এলাকাবাসীর  দাবী অবিলম্বে সেতুর দুই পাশে এপ্রোজ সড়ক নির্মান করে মানুষের যাতায়ত পথ চলাচলে সুবিধা করে দেয়া হোক। 

জানা গেছে, এলাকাবাসীর দবির প্রেক্ষিতে গত দুই বছর আগে এই সেতুটি নির্মান করা হয়। ভৈরবের মানিকদি এলাকার পাড়াতলা, তাঁতালচরসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষসহ ছাত্রছাত্রীরা তাঁতালচরের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। সেতুর কাছেই কালীনদী। আর নদীর পাড় এলাকায় শত শত কৃষকের জমি আছে। তারা ফসল কেটে ঘরে আনতে হলে সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়ত করে। এপ্রোজ সড়ক না থাকায় কাটা ধান বা অন্য ফসল রিক্সা বা ভ্যানগাড়ী দিয়ে বাড়ীতে আনতে পারেনা। বৃষ্টি হলে পথচারীরাসহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে উঠে। সেতুর দুই পাশে গর্ত থাকায় পথচারীরা সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়ত না করে নিচের জমির ওপর দিয়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। এপ্রোজ সড়ক থাকলে এমনভাবে দুর্ভোগ হতনা বলে এলাকাবাসীর দাবি।

স্থানীয় আলফাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা বেগম জানান, আমাদের স্কুলের ২/৩ শ শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। এপ্রোজ সড়কের অভাবে ছাত্রছাত্রীরা অনেক কষ্ট করে সেতু দিয়ে যাতায়ত করে।

এলাকার চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার গোলাপ জানান, জনগনের স্বার্থে সেতুটি নির্মান করে দেয়া হলেও এপ্রোজ সড়কের অভাবে এলাকাবাসী যাতায়তে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

তিনি বলেন বিষয়টি আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপনকে অবহিত করেছি। এপ্রোজ সড়ক নির্মানের জন্য আমি একটি প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করি শীঘ্রই প্রকল্পটি অনুমোদন হলে এপ্রোজ সড়কের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

ভৈরব উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান রাশেদ জানান, দুর্যোগ ব্যবস্হাপনা অধিদপ্তর কালভার্ট সেতুর নির্মান কাজ করেছে যা আমরা তদারকি করেছি মাত্র। তখন প্রকল্পটিতে এপ্রোজ সড়ক ছিলনা। তিনি বলেন এলাকার চেয়ারম্যান এপ্রোজ সড়কের প্রকল্প দিয়ে সড়কটি নির্মান করতে হবে।
 

Bootstrap Image Preview