Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ রবিবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

'পায়রা বন্দরের আওতাভুক্ত চাড়িপাড়ার বাঁধ প্রটেকশনে স্থায়ী প্রকল্প নেয়া হবে'

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৫ মে ২০১৯, ০৭:৪০ PM
আপডেট: ০৫ মে ২০১৯, ০৭:৪০ PM

bdmorning Image Preview


বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। কিছুদিনের মধ্যেই এ কাজ শুরু করা হবে। ভাঙ্গন ও নদীর পানি প্রবেশ ঠেকাতে বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহার করা হবে। পায়রা বন্দরের আওতাভুক্ত চাড়িপাড়ার বাঁধ প্রটেকশনে স্থায়ী প্রকল্প নেয়া হবে।

রবিবার (৫ মে) দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের চাড়িপাড়া ভাঙ্গা বাঁধ পরিদর্শনে এসে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

চাড়িপাড়ার দূর্ভোগ কবলিত মানুষের উদ্দেশ্যে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের আর কষ্ট করতে হবে না। আমাদের প্রথম লক্ষ্য যাতে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে গ্রাম প্লাবিত না হয়। এই মুহুর্তে নদীতে অনেক পানি। নদীর পানির প্রবাহ কমলেই জিও ব্যাগ ফেলা হবে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সুনামগঞ্জেরর পাঁচটি হাওর প্লাবিত হলেও ফসলের কোন ক্ষতি হয়নি। কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তুলতে পেরেছে। আগামীতে যাতে কৃষকরা দুর্ভোগে না পড়ে এজন্য আগামীত আগাম পদক্ষেপ নেয়া হবে।    

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কলাপাড়ার পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে স্পীডবোর্ডে করে চাড়িপাড়া ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন। হ্যান্ডমাইকে দুর্গত গ্রামবাসীদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।

এসময় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব তালুকদার, ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস তপন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে তিনি জেলার মির্জাগজ্ঞের দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের রানীপুর গ্রামে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাধঁ পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ত্রান সামগ্রী বিতরন করেন। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের আওতায় ওই এলাকার ৬০ পরিবারের মধ্যে প্রত্যেককে চাল, ডাল, চিনি ও তৈলসহ ১০ প্রকারের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এসময় তার সাথে ছিলেন- জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরীর, বরিশাল বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার আলী হাওলাদার, মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক গাজী আতাহার উদ্দিন আহম্মেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল জাকী। 

পরে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ফণীর প্রভাবে মির্জাগঞ্জের মেন্দিয়াবাদ ও রানীপুর গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার খবর শুনে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে তাৎক্ষনিকভাবে মির্জাগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে ছুটে এসেছি। মেন্দিয়াবাদ এলাকার পায়রা নদীর পশ্চিমে বরগুনা-চান্দখালী-সুবিদখালী-বাকেরগঞ্জ-বরিশাল মহাসড়ক রয়েছে।

মহাসড়কসহ এ এলাকার জনসাধারণের জানমাল রক্ষার জন্য এবং বন্যায় যাতে আর কেউ ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে লক্ষে অচিরেই পায়রা নদীর পাড়ে টেকসই বেড়িবাধঁ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।   

 

Bootstrap Image Preview