ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দেশের নদ-নদীতে পানি বাড়ায় আকস্মিক বন্যা হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। বিশেষ করে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে এ প্রভাব পরতে পারে।
ফণীর পর তিস্তাপারের মানুষের মনে এখন বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা বলছেন, ভারত গজলডোবার বাঁধের সব গেট খুলে দিলে নদ-নদীতে পানি বাড়বে। এতে পানি তিস্তার দু’কূল উপচে অকাল বন্যা সৃষ্টি হতে পারে।
লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার বড়খাতা গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, হঠাৎ করেই তিস্তায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় গজলডোবা থেকে যদি পানি ছেড়ে দেয়া হয়, তা হলে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুরসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আবাদি ফসলসহ ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
বন্যার আশংকায় ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। কমিয়ে রাখা হয়েছে ডালিয়ার মূল ক্যানেলের পানি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে নেয়া হয়েছে আগাম প্রস্তুতিও।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ দিনে ছিল ৫১.০৫ সেন্টিমিটার। রাতে ছিল ৫১. ৫২ মিটার। এ পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয় ৫২.৬ সেন্টিমিটার। বর্তমানে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে।