মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শনিবার (৪ মে) সকাল থেকে দুপুর ১২টা নাগাদ ফণীর প্রভাবে দমকা হাওয়া ও ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন এলাকা যথেষ্ট লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানীয় বড় বড় গাছ পড়ে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের বাড়ির টিনের চাল চলে গেছে।
প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেক হত দরিদ্র মানুষের ঘর বিধ্বস্থ হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে । বিভিন্ন স্থানে গাছপালা পড়ে বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মীরসরাই উপজেলার চুনি মিঝির টেক এলাকার মোমিন মাঝি বাড়ির ছিদ্দিক আহম্মেদ পুত্র নুরুল আবছার জানায় আমার অনেক পুরোনো বসতঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে ঝড়ে। একই এলাকার হাজ্বী আজিজ উল্লাহ ভুঁইয়া বাড়ির নুরুল করিমের ঘর, সুমু হাজ্বী বাড়ির নুর হোসেন, বদি আলম মেম্বার বাড়ীর মো: শমিরের ঘর, হাজী বাড়ীর খানসাবের ঘরসহ অন্তঃত ২০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয় একই ইউনিয়নে।
করেরহাট ইউনিয়নের অলিনগর গ্রামের অন্তত ১০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মঘাদিয়া ইউনিয়নে প্রায় ১৫ পরিবার, সাহেরখালী ইউনিয়নে প্রায় ১০ পরিবার, ওচমানপুরে প্রায় ১৫ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এবিষয়ে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের টেকেরহাট, জমাদার গ্রাম, ওচমানপুর, বাঁশখালি, মঘাদিয়া, সাহেরখালী এলাকায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা তিনি নিজে পরিদর্শন করে সহযোগিতার চেষ্টা করছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, এবার অন্তত ২৫ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হতাহত অনেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায় বলে জানা গেছে। তবে বিস্তারিত তথ্য জানতে হাসপাতালের দায়িত্বরত কোন চিকিসকের পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুরুল আবছার সহ জরুরী বিভাগের মুঠোফোন ও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে হাসপাতালের জনৈক সহকারি সুবাস জানায়, এখানে কেউ চিকিৎসা নিতে আসেনি।
এদিকে পল্লী বিদ্যুতের জনৈক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানায়, উপজেলার বিভিন্ন অনেক বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে গেছে। অনেক স্থানে গাছপালা পড়ে তার ছিয়ে যাওয়ায় তা দিনভর তা মেরামত করছে বিদ্যুৎকর্মীরা।
মীরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান, আমরা সকল ক্ষতিগ্রস্থ গৃহহীন মানুষের পাশে আছি থাকবো। ইতিমধ্যে সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা ও সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।