রাজধানীতে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে চলছে নিম্নচাপ, হচ্ছে দফায় দফায় বৃষ্টি। শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবার শুরু হয় বৃষ্টি। রাত ৮টায় থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
দীর্ঘ ২০ দিন ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি মেলে নগরবাসীর। রাজধানীতে ২০ দিন আগে শেষবারের মতো বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় সর্বোচ্চ ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। ১৩ এপ্রিল বৃষ্টির পর ঢাকা ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন। এর পর বৈশাখ মাস চলে এলেও দেশের এ মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি একেবারেই ছিল না।
এ সময় ঢাকার ওপর দিয়ে বয়ে যায়নি কালবৈশাখী। বৃষ্টি ও ঝড় না হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ঢাকা শহরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে নগরবাসী। তাদের অপেক্ষা ছিল কেবল এক পশলা বৃষ্টির। উত্তর বঙ্গোপসাগরে গত ২৭ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পাঁচ দিন পর বাংলাদেশ সময় সকাল নয়টার দিকে ভারতের ওড়িশায় আঘাত হানে ফণী।
প্রায় ৭শ কিলোমিটার দূরে প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলেও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় প্রভাব পড়তে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট।
ফণীর প্রভাবে আজো ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে যখন ফণী প্রবেশ করবে, তখন এর গতি অর্ধেকে নেমে ৮০-১০০ কিলোমিটার হবে।
ধীরে ধীরে ফণীস্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে চলে যাবে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের দিকে। তবে এর প্রভাবে শুক্রবার রাত ও শনিবার সারা দিন বৃষ্টি থাকার সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।