Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বন্ধুকে গলা কেটে হত্যা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ মে ২০১৯, ১১:২৪ AM
আপডেট: ০৪ মে ২০১৯, ১১:২৪ AM

bdmorning Image Preview


চুয়াডাঙ্গায় ত্রিভুজ প্রেমের কারণে মোমিন হোসেন (২২) নামে যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর মরদেহ গুম করতে নদীতে ফেলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি ‘ঘাতক’ বন্ধু সাফায়েত।

শুক্রবার রাতে পুলিশ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে নিহত মোমিনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত মোমিন আলোকদিয়া গ্রামের দিলু মন্ডলের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, নিহত মোমিন ও সাফায়েত দুজন ঘনিষ্ট বন্ধু। দিনে রাতে বেশির ভাগ সময়ই তারা দুইজন একসাথে চলাফেরা করতো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাদের দুইজনকে এক সাথে দেখা গেলেও রাতে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন মোমিন।

নিহতের দাদা আসমান আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজের পর শুক্রবার সকালে মোমিনের রক্তমাখা জুতা মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় থেকে উদ্ধার হয়। সন্ধান জানতে তার বন্ধু সাফায়েতকে জিজ্ঞাসা করা হলে মোমিন ঢাকাতে চলে গেছে বলে আমাদেরকে জানায়। বিষয়টি সন্দেহে হলে আমরা পুলিশকে খবর দিই।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন বলেন, স্থানীয় জনগণের তথ্যের ভিত্তিতে দুপুরে সন্দেহভাজন সাফায়েতকে আমরা আটক করি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার বন্ধু মোমিন হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীতে থেকে মোমিনের মরদেহ উদ্ধার করে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক সাফায়েত স্বীকার করেছে গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধুর ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়। এই বিবাদের কারণে সাফায়েত মোমিনকে খুনের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকাতে যাওয়ার কথা বলে মোমিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। এরপর মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে নিয়ে গলা কেটে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

Bootstrap Image Preview