বগুড়ার ধুনট উপজেলায় তিন ফসলি জমিতে খননযন্ত্র বসিয়ে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন অবশেষে বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হুকুমআলী-সোনামুখী বাইপাস রোডের পাশে মাটিকোড়া গ্রামে প্রায় ৫ বছর আগে ৪ বিঘা আবাদি জমি খুড়ে পুকুর তৈরি করেছিল কৃষক ফরিদ উদ্দিন। ওই পুকুর সম্প্রসারণের নামে দুই সপ্তাহ আগে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি শুরু করে। একই সাথে ভূ-গর্ভস্থ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করতে থাকে। এতে আশপাশের জমিতে চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়ে।
ওই জমির চারপাশে রয়েছে নানা জাতের ফসলের ক্ষেত। বালু উত্তোলনে স্থান থেকে ২০০ গজ দূরে বাইপাস পাকা সড়ক। এছাড়া পুকুরের পাড় ঘেষে রয়েছে কয়েকটি বসতঘর। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ২৪ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দেয় মাটিকোড়া গ্রামবাসির পক্ষে স্কুলশিক্ষক এনামুল হক।
মাটিকোড়া গ্রামের শিক্ষক এনামুল হক বলেন, আবাদি জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলনে ভূমি ধসের উপক্রম হওয়ায় প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিয়ে কাজ হয়নি। এ কারণে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) রাতে গ্রামবাসী বৈঠক করে ফসলি জমির মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার (৩ মে) সকালের দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মাটিকোড়া গ্রামের কৃষক ফরিদ উদ্দিন বলেন, মাছ চাষের জন্য নিজের জমিতে পুকুর খনন করায় গ্রামবাসীর কোন ক্ষতি হয়নি। তারপরও শত্রুতামূলকভাবে পুকুর খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, দাফতরিক কাজে ব্যস্ত থাকায় গ্রামবাসীর অভিযোগের ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্ব হয়েছে। তবে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ার কাজটি গ্রামবাসীর জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত। এ ধরনের কাজে প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মানুষকে এগিয়ে আসা উচিত।