সদা হাসি-খুশি থেকে যারা সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখতো তাদের ঠাঁই হলো অন্ধকার কবরে। তাদের অনুপস্থিতিতে বাড়িশুদ্ধ সবাই পাথর হয়ে গেছেন আজ। কে জানতো, শিশু দু’টির এমন করুণ মৃত্যু হবে। প্রচন্ড গরম পড়ছিলো। কোথাও ছিলো এক চিলতে সুশীতল আবেশ। তাইতো এরা নিষ্পাপ শরীর ঠান্ডা করতে নেমে যায় পুকুরে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) বিদ্যালয় থেকে আসার কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যার দিকে হাজেরা (৯) ও আয়েশা (৭) বাড়ির পাশের পুকুরে সাঁতার কাটতে থাকে। হঠাৎ করে তারা তলিয়ে যায় পুকুরের পানির নীচে। চারদিকে নির্জন থাকায় কেউ তাদের পানিতে তলিয়ে যেতে পায়নি।
এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন তাদের দু-মেয়ে হাজেরা (৯) ও আয়েশা (৭) খুঁজতে থাকে।নিহত হাজেরা ও আয়েশা দু-বোন উপজেলার আশরাফ আলীর কন্যা।
এক পর্যায়ে আশ-পাশের মানুষ হাজেরা ও আয়েশাকে খোঁজ নিতে পুকুরে তল্লাশি চালায়। এ সময় হাজেরা ও আয়েশার মৃৃত নিথর দেহ উদ্ধার করা হয় পুকুর থেকে।
নিহত দু'বোন চুনারুঘাট উপজেলা রানীগাও আরাবিয়া কওমিয়া মাদ্রাসায় হাজেরা ৪র্থ ও আয়েশা ২য় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিলো। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি চুনারুঘাট উপজেলার রানীগাঁও ইউনিয়নে কোনাগাও গ্রামে এর দিখে ঘটনাটি ঘটেছে। এ দিকে দুই বোনের এভাবে করুণ মৃত্যুতে সারা এলাকা শোকে আচ্ছন্ন।