ভারতের উপকূল অতিক্রম না করলেও এটি বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আসবে। যেভাবেই হোক ফণী বাংলাদেশে আসবেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমদ।
আর এ কারণে সম্ভাব্য সকল স্থাপনার ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়।
থমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাজমা শেখ স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ খুব শিগগিরই আঘাত হানতে পারে। এমতাবস্থায় নিজ নিজ অফিস ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সব ধরনের স্থাপনার সম্ভাব্য ক্ষতি পরিহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৪ মে’র নির্ধারিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৪ মে।
এ দিকে ঘণ্টায় ১৬০-১৮০ কিলোমিটার গতির বাতাস হাজার কিলোমিটার ব্যাসের বিস্তার নিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী।
বাংলাদেশে এর আঘাতে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উপকূলের দুই জেলা খুলনা ও বরগুনা। এ জন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ এবং চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে।
ঘণ্টায় ১৬০-১৮০ কিলোমিটার গতির বাতাস আর হাজার কিলোমিটার ব্যাসের বিস্তার নিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী। বাংলাদেশ থেকে ফণীর দূরত্ব এখন মাত্র ৭০০ কিলোমিটার।
শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ খুলনায় আঘাত হানবে ফণী। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করবে শনিবার (৪ মে) দুপুরে।
বাংলাদেশে থাকাকালীন ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। তাই ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তুলনামূলক কম।
ভারতীয় উপকূলে আঘাত করে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে ‘ফণী’। গতিপথ পরিবর্তন করে সরাসরি এদেশে আঘাতের সম্ভাবনা আপতত নেই। ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আঘাতে ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।