নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে সিমলা বেগম (১৯) নামের একজন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (১লা মে) দিবাগত রাতে উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের হাড়িডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর খালু গোলাম কিবরিয়া জানায়, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের হাড়িডাঙ্গা গ্রামের রাজমিস্ত্রি তাওহিদের সঙ্গে আট থেকে নয় মাস আগে বাগেরহাটের মংলা উপজেলার বুড়িডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হাওলাদারের মেয়ে সিমলার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই তাকে তাওহিদ ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহ খানেক আগে সিমলার স্বামী ব্যবসার জন্য এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ টাকা না দেওয়ায় সিমলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে
সিমলার বাবা আজিজুল হাওলাদার বলেন, বুধবার রাতে অপরিচিত এক ব্যক্তি আমাদের বাড়িতে ফোন করে জানায়, আপনাদের মেয়ে সিমলা কালিয়া হাসপাতালে মারা গেছে। এই খরর পেয়ে আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি লাশ কালিয়া থানায় রয়েছে। তাওহিদ আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। যৌতুক না দেওয়ায় ওরা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমি সিমলার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে শিমলার শাশুড়ি সুলেখা বেগম অভিযোগ অস্বীকার করে প্রথমে বলেন, বৌমা গলায় দড়ি দিয়েছে, তাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। এর পরপরই আবার তিনি বলেন, বৌমা অসুস্থ্য ছিল, তাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।
এই বিষয়ে কালিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।