হ্যারিক্যানের গতি সম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি ভারতের ওড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের চারটি নদীবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এর ফলে আগামী শুক্রবার (০৩ মে) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে আগামী পাঁচ দিনে দেশের কিছুটা তাপমাত্র হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ রিশাদ জানাম বলেন, দেশের তাপমাত্রা কমছে। সামনে ধীরে ধীরে আরও কমে আসবে। আগামী ৩ মে ও ৪ মে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির ৯০ শতাংশ সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া আবার ১০ মে’তেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে তিনি জানান, সমুদ্রবন্দরে এখন ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা বুঝে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ৫, ৬ অথবা ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হতে পারে। আর নদীবন্দরগুলোতেও ৪ নম্বর সতর্কতা থেকে আরও বাড়তে পারে। এটি যদি গভীর সমুদ্র থেকে সরাসরি মংলা হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানে, তাহলে ভয়াবহ ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। আর যদি এটি ভারতের পশ্চিম বঙ্গ এবং ওড়িশা হয়ে আমাদের দেশে আসে তাহলে তা অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে। এতে ক্ষতির শঙ্কা কম থাকবে।’
আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা রংপুর হয়ে দিনাজপুরের দিকে যেতে পারে। একই সঙ্গে কক্সবাজার ও চট্রগ্রামে আঘাত হানতে পারে। তবে ফনি ৪ মে আঘাত হানতে পারে।
এদিকে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ফোনির প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। গত ২৪ এপ্রিল সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ফণীতে রূপ নেয় ২৭ এপ্রিল। শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের অন্ধ্র উপকূলের দিকে। গতিপথ পাল্টালে ভারতের উড়িষ্যা হয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসতে পারে ফণী।