Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৬ সোমবার, মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নদীবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ মে ২০১৯, ১০:৪৭ AM
আপডেট: ০২ মে ২০১৯, ১০:৫৭ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


হ্যারিক্যানের গতি সম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশের উপকূল থেকে মাত্র ৯৬০ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি ভারতের ওড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের চারটি নদীবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় (এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম) ‘ফণী’ শুক্রবার (৩ মে) বিকেল নাগাদ ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে কিছুটা দুর্বল অবস্থায় শনিবার (৪ মে) নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভারতে বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২৭) জানানো হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ সামান্য উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

তিনি আরও জানায়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ৩ মে বিকেল নাগাদ ভারতের ওড়িষ্যার গোপালপুর ও চাঁদবালি উপকূল এবং পুরির দক্ষিণাঞ্চল অতিক্রম করতে পারে। তখন ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে, দেশের তাপমাত্রা আজও কিছুটা কমবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি হতে পারে।

Bootstrap Image Preview