Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ সোমবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মির্জা আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৬ জুন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ০১:০৯ PM
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ০১:০৯ PM

bdmorning Image Preview


অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করে সময় প্রার্থনা করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার নতুন এ দিন ধার্য করেন।

গত ৭ জানুয়ারি মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন শাহজাহানপুর থানায় এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া আফরোজা আব্বাসের নামে যে সম্পদের বিবরণ পাওয়া গেছে তা আসলে তার স্বামী মির্জা আব্বাসের সহায়তায় ‘অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত’ সম্পদ।

বলা হয়েছে, আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৬৩ টাকার ‘অবৈধ’ সম্পদ পাওয়া গেছে। আয়কর নথিতে তিনি নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু পাসপোর্টের তথ্যে বলা হয়েছে, তিনি একজন গৃহিণী, নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস তার নেই।

আফরোজা আব্বাস তার ‘অবৈধভাবে অর্জিত’ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করে ‘অসৎ উদ্দেশ্যে’ দালিলিক প্রমাণবিহীন ‘ভুয়া’ ঋণ হিসেবে দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে দুদকের মামলায়।

এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের আগে মির্জা আব্বাসের ‘উল্লেখযোগ্য কোনো আয় ছিল না’। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ‘ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে’ তিনি বিপুল সম্পদ ও অগাধ অর্থবিত্তের মালিক হন।

এসব অভিযোগে দুদক আইনের ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৩ ধারায় আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview