Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আমি অসুস্থ বাসায় আছি, শপথের বিষয়ে কিছুই জানি না: মির্জা ফখরুল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:২৩ PM
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:২৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি থেকে নির্বাচিত আরও চার সংসদ সদস্য শপথগ্রহণ করেছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তারা।

তারা হলেন- বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ৩ থেকে নির্বাচিত হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার এবং বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচিত মোশাররফ হোসেন।

এ বিষয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘দেশে সরকার থাকবে অথচ আইনের শাসন থাকবে না এটা হতে পারে না। তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা শপথ নিয়েছি।’

তবে বিজয়ী প্রার্থীদের শপথ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি অসুস্থ, বাসায় আছি। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’

এর আগে দলটির নেত্রী সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া জানান, 'যারা শপথ নেবার আজই নেবে। তিনটা সাড়ে তিনটার দিকে নেবে। মহাসচিব ছাড়া সবাই নেবে।'

এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপি শপথ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান জাহিদ শপথগ্রহণ করেন। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

প্রসঙ্গত, একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে আটজন নির্বাচিত হন। এর মধ্যে গণফোরামের দুজন নির্বাচিত হন। ছয়জন নির্বাচিত হন বিএনপির টিকিটে। এই আটজনের মধ্যে সাতজনই ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হন। একমাত্র গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান নির্বাচিত হন দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য প্রতীকে। তবে তিনি দলীয় ভোটে নয়, বিএনপির ভোটব্যাংক কাজে লাগিয়েই সিলেট-২ আসন থেকে জয়ী হয়েছেন।

৩০ ডিসেম্বরের ভোটের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সর্বোতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে, নির্বাচিত আটজনের কেউ-ই একাদশ সংসদে শপথ নেবে না। শপথ নিলে বহিষ্কার করা হবে।বিএনপি শুরু থেকেই বলে আসছে ৩০ ডিসেম্বর কোনো ভোট-ই হয়নি। নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় এই সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

জাতীয় ঐকফ্রন্টের অঙ্গীকার সর্বপ্রথম ভঙ্গ করেন মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। তিনি শপথ নেয়ার পরপরই তাকে গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর শপথ নেন মোকাব্বির খান, তাকে এখনও বহিষ্কার করা না হলেও শোকজ করা হয়েছে।

সংবিধান অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ নেওয়ার শেষ দিন সোমবার। সংবিধানে বলা আছে, সংসদের প্রথম বৈঠকের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচিত সাংসদদের শপথ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে সদস্যপদ বাতিল করে আসন শূন্য ঘোষণা করা হবে। একাদশ সংসদের প্রথম বৈঠক বসে গত ৩০ জানুয়ারি। এই হিসাবে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচিতদের শপথ নিতে হবে।

রোববার রাতে তিন সাংসদ উকিল আবদুস সাত্তার, হারুনুর রশীদ ও আমিনুল ইসলামকে নিয়ে গুলশানের কার্যালয়ে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

দলীয় সূত্র জানায়, বৈঠকে দলের চেয়ারপারসনের কারাবন্দী অবস্থায় ওই তিনজনকে শপথ না নিতে অনুরোধ করা হয়। একপর্যায়ে তিন সাংসদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপে পৃথকভাবে একান্তে কথা বলেন।

বিএনপির বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে এখন শপথ নিতে বাকি রয়েছেন একমাত্র দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Bootstrap Image Preview