বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ হারানোর ভয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে শপথ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, দুটি কারণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিচ্ছেন না। এর একটি হচ্ছে যেই দলে কোন গণতন্ত্র নেই, লন্ডন থেকে পরিচালিত হয়, সেই দলের বিরুদ্ধে গিয়ে শপথ নিলে পদ হারাবেন। মূলত পদ হারানোর ভয়েই মির্জা ফখরুল ইসলাম শপথ নিবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
আরেকটি কারণ হলো, বগুড়া থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উনার নিজ এলাকার ভোটারদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকলেও বগুড়ার ভোটার, এমনকি জনগণের প্রতি উনার কোন দায়বদ্ধতা নেই। তাই তিনি শপথ নিচ্ছেন না।
তবে আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে বিএনপির বাকিরা শপথ নিবে বলে আশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আমরা আশাকরি আগামী ৩০ তারিখের মধ্যে বিএনপির বাকিরা শপথ নিয়ে জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করবে। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলে শপথ নিয়ে সংসদে এসে কথা বলুন।
আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রত্যেক জেলা উপজেলায় দলকে সু-সংগঠিত করার তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংগঠন শক্তিশালী হলে অশুভ শক্তির যে কোন তৎপরতাকে প্রতিহত করা যাবে। সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পেলে অশুভ শক্তির তৎপরতা লোপ পায়। আর সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই আওয়ামী লীগে নিয়মিত কাউন্সিল হয়।
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর সংস্কারপন্থী নেতাদের দ্বারা গঠিত রাজনৈতিক মঞ্চের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, জামায়াতের খোলস পাল্টে, অর্থাৎ জার্সি পাল্টিয়ে নতুন ভাবে জামায়াত আসছে। এদের চরিত্র কিন্তু পরিবর্তন হবে না। এরা আওয়ামী লীগের মসৃণ পথ রুদ্ধ করতে চাইবে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার মোহাম্মদ আবদুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।